নিজস্ব সংবাদদাতা: অনেক রাত অফিসের মধ্যে বসেই মদের মজলিস বসানোর আভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ভূমি রাজস্ব অধিকারিকের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ রাতেই হানা দিয়ে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল ও মদ খাওয়ার জন্য আনুষঙ্গিক খাদ্য। যদিও বিষয়টিকে তদন্ত সাপক্ষ বলে জানিয়েছেন শীর্ষ আধিকারিকরা।
বুধবার রাতে এই আভিযোগ তুলে কেশপুর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের দপ্তর অভিযান করে কিছু গ্রামবাসী। তাঁদের আভিযোগ আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস নিজে এই মজলিস বসাতেন। গ্রামবাসীদের আরও দাবি যে ওই অভিযান চালিয়ে মিলেছে মদের বোতল সহ তরিতরকারির প্লেট।
কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, ” বুধবার রাত ৯টার পর ওই অফিসে হইহুল্লোড়ের শব্দ পাই আমরা। এত রাতে কী হচ্ছে দেখতে গিয়ে অবাক হয়ে যাই আমরা। দেখি অফিসের ভেতরে গিয়ে দেখেন অফিসের মধ্যেই মদ্যপান ও মচ্ছব চলছে। এরপরই আমরা বিষয়টি পুলিশ ও বিডিওকে জানাই।
তাঁরা এসে আমাদের চোখের সামনেই মদের বোতল ও মদের জন্য চাট উদ্ধার করেন।”
জানা যায় রাতে অফিসের মধ্যে ওই ঘটনা দেখতে পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষ। তারা অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় কেশপুর থানায়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় কেশপুর থানার পুলিশ, কেশপুরের বিডিও।
এ ঘটনায় চাঞ্চল্য পশ্চিমমেদিনীপুর জেলা প্রশাসন স্তরে। কেশপুরের বিধায়ক শিউলী সাহা জানান, ”কিছু মানুষকে এই সব কাজ হচ্ছিল শুনেছি। কী হচ্ছিল তা প্রশাসন দেখুক তবে এই দপ্তরের কাজ নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে যা আমি সমস্ত স্তরেই জানিয়েছি।”
বিধায়ক আরও বলেন, ” এরমধ্যে শাষকদলের কেউ যুক্ত নেই। কিছু বহিরাগত মানুষকে নিয়ে অফিসের ভেতরে এইসব কাজ চলছিল। আমি ইতিপূর্বেই কিছু বেনিয়ম নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করে জেলাপ্রশাসন, বিডিও, জেলা ভূমি সংস্কার উন্নয়ন আধিকারিককে জানিয়েছি।”
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাতে কাজ চলা নিয়ে কোনও আপত্তি থাকতে পারেনা। কাজের যা চাপ তাতে অনেক রাত অবধি খোলা থাকতেই পারে। তার বাইরে যা আভিযোগ এসেছে তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে যদি আভিযোগ সত্যি হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে।