নিজস্ব সংবাদদাতা: নির্বাচনের মুখে অস্ত্রশস্ত্র সহ খড়গপুর শহরের এক দাগী অপরাধীকে বামাল গ্রেপ্তার করল খড়গপুর পুলিশ। শনিবার মধ্য রাতে শহরের দক্ষিণ প্রান্ত বারবেটিয়ার কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবককে। আগেও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত এই যুবকের নাম সেক মঞ্জিল, বাড়ি খড়গপুর শহরেরই পাঁচবেড়িয়া এলাকার বালুবস্তি, আলিনগরে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যুবকের কাছ থেকে একটি নাইন এম.এম পিস্তল ও তাজা কার্তুজ মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খড়গপুর শহর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ দক্ষিন দিক থেকে খড়গপুর শহরে প্রবেশ মুখে কৌশল্যা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা রাতে বারবেটিয়া মোড়ের কাছে পাহারায় থাকেন। যেহেতু নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে তাই এখন শহরের প্রতিটি প্রবেশ মুখেই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আর সেই প্রক্রিয়াতেই জালে পড়ে মঞ্জিল।”
জানা গেছে, মধ্য রাতে শহরে প্রবেশ করছেন সন্দেহজনক এমন যানবাহন এমনকি প্রয়োজনে ব্যক্তিদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শনিবার সেক মঞ্জিল ওরফে কটাকে একটি সাইকেলে করে শহরে প্রবেশ করতে দেখে এএসআই বাদল কুমার ঘোষের নেতৃত্বে কর্তব্যরত দুই পুলিশ কর্মী তরুণ মন্ডল ও অনুপ গিরি তাকে আটকায়। তাকে তল্লাশি করতে গিয়েই দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি আট ইঞ্চি লম্বা ওই আগ্নেয়াস্ত্র এবং তাজা কার্তুজটি পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মঞ্জিল ওই সময় শহরের বাইরে একটি অপরাধ সংগঠিত করে ফিরছিল। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হতেই পুলিশ তাকে আটকানোর জন্য তৈরি হচ্ছে দেখে সে কিছুটা দূর থেকেই পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ কর্মীরা তাকে ধরে ফেলে। কী অপরাধ করে ফিরছিল সে বিষয়ে অবশ্য পুলিশ মুখ খোলেনি কারন বিষয়টি জানাজানি হলে ওই অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা গা ঢাকা দিয়ে দিতে পারে। রবিবার মঞ্জিলকে খড়গপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
খড়গপুর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মঞ্জিলের বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের কাছে অপরাধের নথি রয়েছে। পাশাপাশি গত তিন চার মাসের মধ্যে খড়গপুর শহরে বেশ কয়েকটি ছিনতাই ও একটি খুনের ঘটনাও ঘটেছে যদিও তার কয়েকটি মামলায় পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মঞ্জিল ও তার শাকরেদদের সূত্র ধরে ওই অপরাধগুলো সূত্র পাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ছাড়াও অন্য কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।