নিউজ ডেস্ক: এনজেপি সংলগ্ন স্থলবন্দরে যখন বিশৃঙ্খলা চলছিল সেসময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না তৃণমুল বহিষ্কৃত নেতা প্রসেনজিৎ রায়।বুধবার জলপাইগুড়ি আদালতে যাবার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
এনজেপি সংলগ্ন স্থলবন্দর ভাঙচুর কাণ্ডে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের জেরে শিলিগুড়ি শহরজুড়ে নতুন করে বিতর্কের দানা বেঁধেছে। পাশাপাশি, মা-মাটি-মানুষের দলেই তিনি থাকবেন বলেও এদিন সাফ জানান প্রসেনজিৎবাবু।
বুধবার প্রসেনজিৎ রায়কে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পাঠায় ভক্তিনগর পুলিশ। থানা থেকে বেরিয়ে আদালতে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। পরবর্তীতে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূলের ওপর আমার ভরসা রয়েছে। যতই আমাকে বহিষ্কার করা হোক, মা-মাটি-মানুষের দলেই থাকব।’
গত চার ফেব্রুয়ারি কাজের দাবিতে এনজেপি সংলগ্ন স্থলবন্দরে ভাঙচুরের ঘটনা কারোর অজানা নয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন এনজেপি আইএনটিটিইউসির নেতা প্রসেনজিৎ রায়।এনজেপি স্টেশনের শ্রমিকরা কেন কাজ পাচ্ছেনা?এই নিয়ে সেদিনও ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন।স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল তৎকালীন এনজেপির আইএনটিটিইউসি ইউনিট সভাপতি প্রসেনজিৎ রায়ের নেতৃত্বে ভাঙচুর চলে। ঘটনাস্থলে চলে সাত-আট রাউন্ড গুলিও। মুখ্যমন্ত্রী শহরে থাকাকালীন তার দলের নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এরপরেই ঘটনাস্থল থেকে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সেই সময় এলাকা থেকে পালিয়ে যান প্রসেনজিৎ রায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে খোদ পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা কেন্দ্রে এই ঘটনায় দল অস্বস্তিতে পড়ে। পরিস্থিতি না বদলালে শিল্প গোটানোর হুমকি দেন ব্যবসায়ীরা। এরপরেই তড়িঘড়ি প্রসেনজিৎকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরই তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ময়দানে নামানো হয় সিআইডিকেও। অবশেষে গ্রেপ্তার হন প্রসেনজিৎ। সোমবার দুপুরে অসম সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন জলপাইগুড়ি আদালতে তাকে তোলা হয়।আদালত প্রসেনজিৎ রায়কে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যায়।