শশাঙ্ক প্রধান : রবিবার মধ্য রাতে বিজেপি ও তৃনমুল কংগ্রেস সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার কেরুড় গ্রাম। সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় সদ্য তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমনের অভিযোগ এনেছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হলেও গভীর রাত অবধি কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্দীপ খাটুয়া অভিযোগ করেছেন কেরুড় বাজারের উপরে তৃণমূলের পার্টি অফিস কয়েকজন কর্মী সমর্থক প্রতিদিনের মতোই পার্টি অফিসে বসে ছিলেন হঠাৎ করে বিজেপির কর্মী মুক্তিপদ খাড়া বিজয় সিট ছাড়াও আরো চারজন হঠাৎ এসে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে বোমবাজি শুরু করে। আচমকাই বোমাবাজিতে পার্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূলের কর্মীরা আতঙ্কে পার্টি অফিসের পিছন দিক দিয়ে ছুটে পালিয়ে যায়। এরপরই বিজেপির কর্মীরা পার্টি অফিসে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিজেপির মধ্য মন্ডল এর সভাপতি উত্তম সামন্ত। তিনি বলেন স্থানীয় মুক্তিপদ ধাড়া বলে এক ব্যবসায়ীর উইকেন্ড বাজারের একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন পথিমধ্যে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী ধাড়াকে তাড়া করলে উনি প্রাণভয়ে বিজয় সিটের বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই হার্মাদরা সিটের বাড়ি থেকে তাকে বের করে আনে। এরপর ওই তৃণমূলের হার্মাদের দল ধাড়াকে ভোজালির কোপ মারে। তাঁকে প্রাণে মেরা ফেলার চেষ্টা করে। ওই দুষ্কৃতি দলটিই বোমাবাজি করে। ওরা নিজেরাই এবার বিজেপিকে ফাঁসানোর জন্য নিজেদের অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিজেপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা নিয়ে।
এদিকে2 খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে সবং থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসেছে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত কোনও পক্ষের তরফ সবং থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। পুলিশের সাহায্য নিয়েই আহত ব্যক্তিকে সবং গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নির্বাচন যত কাছে আসছে সবং এলাকায় রাজনৈতিক হানাহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কয়েক মাস ধরে খবরের শিরোনামে বিজেপি তৃণমূলে সংঘর্ষ উঠে আসছে।
গত কয়েক মাস আগেই সবং থানার ওই কেরুড় গ্রামে এক বিজেপি কর্মীর ।বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছিল অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে কয়েক মাস যেতে না যেতেই আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠল সবং এর কেরুড় গ্রাম। পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে। বিজেপির দাবি,