নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে দুর্বল করতে নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়েছেন মাননীয়া।মসনদের রিন্যুয়াল করার লক্ষ্যে তিনি পাহাড়ে রাষ্ট্রদ্রোহীকে ফিরিয়ে আনলেন।শুধু তাই নয় তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছেন মাননীয়া।শিলিগুড়িতে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে ঠিক এই বাক্যেই বিঁধলেন শুভেন্দু।দার্জিলিং-এ বিমল গুরুং এর প্রত্যাবর্তন ইস্যু নিয়েও সরব হন তিনি।
রবিবার ফালাকাটায় পরিবর্তন যাত্রা শেষে বেশ অনেকটা রাতেই শিলিগুড়ির বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আসেন শুভেন্দু।নির্বাচনের পূর্বে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এরপরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তৃণমুলকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন তিনি।ছাড়েননি শিলিগুড়ি পুরনিগমের বাম পরিচালিত পুরবোর্ডকেও।শুভেন্দু অধিকারী বলেন,বাম-তৃণমুলের যথেষ্ট সমঝোতা রয়েছে।সেটা জনসাধারন বুঝতে পারে।তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে তার ভাইকে পুরপ্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।কিন্তু অশোকবাবু এখনো বহাল রয়েছে।এর থেকেই বোঝা যায় সমঝোতা কতটা বামেদের সঙ্গে তৃণমুলের।বিজেপি যেন কিছুতেই কোনো জায়গা না পায় তার জন্য মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী।
জঙ্গলমহলে এক দাগী আসামীকে জেলা নেতৃত্বের পদে বসিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিকে পাহাড়ে নিয়ে এলেন এক রাষ্ট্রদ্রোহীকে।বিমল গুরুং এর প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি তোপ দাগলেন রাজ্য সরকারকে।
শিলিগুড়ির তৃণমুল নেতারা জমি মাফিয়া বলে কটাক্ষ করেন তিনি।শহরের মানুষের জীবনযাত্রায় বাঁধার সৃষ্টি করছে তৃণমুল নেতারা বলে শুভেন্দু জানান।
সবশেষে তিনি বলেন,তৃণমুল যত বাঁধার সৃষ্টি করুক উত্তরের সব সিটে জয়ী হবে বিজেপি।লোকসভা নির্বাচনে শুধু ট্রেলার দেখেছিল তৃণমূল।বিধানসভা নির্বাচনে পুরো ছবি দেখবে।ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।।