নিজস্ব সংবাদদাতা: শীত এল বলে। সঙ্গে নয়ন ভোলানো সবজিরও আসার কথা। ফুলকপি , বাঁধাকপি , গাজর, শালগম। সীম, বরবটি , কড়াইশুটি। নটে, খসলা, পালং, পিড়িং আরও কতশত! খেতেও মজার আর দামেও সস্তা। কিন্তু এবার বোধহয় তা হওয়ার নয়। দক্ষিনবঙ্গের সবজি ভান্ডার বলে পরিচিতি কাঁসাই, সুবর্ণরেখা, দারকেশ্বর, দামোদর, রূপনারায়ন, শিলাবতী, ডুলুং উপত্যকার চাষিদের মাথায় হাত।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার দুপুর থেকে দক্ষিনবঙ্গের জেলায় জেলায় ঝড়ো বাতাস এর সাথে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার সারাদিন ও শুক্রবার বিকাল অবধি সেই বৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বৃষ্টিতে
পাকা ধানে মই, কাঁচাধানে বাঁশ দেওয়ার মতই জল কাদায় মাখামাখি হয়ে গেছে সদ্য লাগানো শীতের সবজির চারা এবং বোনা বীজ। আর এতেই আশংকা তৈরি হয়েছে যে আদৌ এবার শীতের শুরুতে সবজির জোগান স্বাভাবিক থাকবে কিনা?
জেলার সবজী ভান্ডার গড়বেতা গোয়ালতোড়, চন্দ্রকোনারোডে সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি। বিশেষ করে যে সমস্ত চাষীরা চট জলদি ফুলকপি চাষ করেছিলেন, তারা এই মরসুমে এই নিয়ে দুবার ক্ষতির মুখে। শারদ উৎসবের আগে চট জলদি ফুলকপি লাগিয়ে এমনই বৃষ্টির কারনে গাছ পচে নষ্ট হওয়ার কারনে একবার মার খেয়েছেন ক্ষতিতে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কর্পোরেটের সীল করা প্যাকেট বীজ প্রতিকেজি ১৪০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। গোয়ালতোড়ের কৃষি খামারে শিল্প খড়ার গল্প বলে সেখানে এমন বীজ উদপাদন বন্ধ। নইলে সেই বীজই ৬০০ টাকায় পাওয়া যেত। সেই বীজের বাজার এখন কর্পোরেট দখল করেছে। পুনরায় সেই বীজ কিনে আবারো যদিও কপি গাছ বড় করলো, আর ১০/১২ দিনের মধ্যে ফলন ধরার কথা, ঠিক সেই সময় এমন বৃষ্টিতে গাছের গড়ায় জল জমে চাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ তৈরী করেছে।
গোয়ালতোড়ের আমলাশুলি, গড়বেতার ধাদিকা, দোলবাগান বাগান মৌজার গোলাপ খান, হাটেন চৌধুরী এমন এলাকার প্রতিটি পরিবারের এমন চাষ। পিয়াশালা গ্রামের মদন মাঝি, লক্ষীকান্ত মাঝিরাও সেই চাষ করে এখন ডুবতে বসেছেন। আলু বা সবজি চাষে প্রাকৃতিক কারনে নষ্ট হলেও কোনো ক্ষতিপূরনের ব্যাবস্থা নেই এই সরকারের আমলে।
এমন চাষে বীমা হয়না এমনই অজুহাত সরকারের।এমন চাষীরাই বলেন এখন বিঘাপ্রতি ফুলকপি চাষে খরচ বেড়েছে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। সেই পরিমান বিঘাপ্রতি ২৫/২৭ হাজার টাকা। এবারও যদি গাছ নষ্ট হয় তাহলে এক মাসের মধ্য দুবার কপি গাছ নষ্ট হলে আর চাষ করার মতো ক্ষমতা তাদের থাকবে না। আর স্বভাবতই শীতের বাজারে আগুন লাগবে।