নিউজ ডেস্ক: এ যেন গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া! একে জ্বালানি তেলের দাম উর্ধমুখী, তেল কোম্পানির দাপটে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারন মানুষের। সেগুলি নিয়ন্ত্রণের বদলে সরকার হাত তুলে বসে রয়েছে। এবার তার ওপর নতুন করে কর আদায়ের ফিকির! গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় সরকার গ্রিণ ট্যাক্সের অর্থ নেবে সরকার বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আট বছরের পুরনো গাড়ির ওপর এবার থেকে গ্রিন ট্যাক্স বসবে।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের তরফ থেকে এই প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে।শুধুমাত্র শলা পরামর্শের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের কাছে পাঠানো হবে এই প্রস্তাব।
এরপরই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এই খাতে আদায়কৃত অর্থ রাজস্ব দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হবে বলে পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে। বলাবাহুল্য এমন প্রস্তাব লুফে নেবে তারাও, মানে আঞ্চলিক সরকার গুলি কারন কর আদায়ের এই নয়া ফিকিরে তাদেরও ভাঁড়ারে বাড়তি পয়সা ঢুকবে।
মন্ত্রকের প্রস্তাব অনুযায়ী আট বছরের বেশি বয়সের গাড়ির ওপর অতিরিক্ত কর দিতে হবে। রোড ট্যাক্সের ১০-২৫ শতাংশ হারে এই সবুজ কর দিতে হবে। ১৫ বছর বাদে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নেওয়ার সময়ও গ্রিন ট্যাক্স দিতে হবেে। বাস ইত্যাদি গণপরিবহণের ক্ষেত্রে এই করের হারটি একটু কম হবে। এছা়ড়াও যে সব শহরে দূষণ খুব বেশি, সেখানে রোড ট্যাক্সের ৫০ শতাংশ গ্রিন ট্যাক্স নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
যারা পুরনো গাড়ি পরিবেশ বান্ধব ও বৈজ্ঞানিক প্রকারে স্ক্র্যাপে পাঠিয়ে দেয়, তাদের ক্ষেত্রে নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্সে ছাড় মিলবে, বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন এতে শুধু ধাক্কা পড়বে যাঁদের প্রাইভেট কার আছে তাঁদের ওপরেই কিন্তু না, সাধারণ মানুষকেও এর মূল্য চোকাতে হবে। যাঁদের বিপদে আপদে গাড়ি ভাড়া করতে হয়, প্রয়োজনে ট্যাক্সি, ওলা, উবের নিতে হয় তাঁদের ওপর দিয়েই এই বাড়তি টাকা উসুল করবেন গাড়ির মালিকরা, আ্যম্বুলেন্সই বা ছাড় পাবে কেন?