নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় থানা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের আক্রমণে ১জন পুলিশ আধিকারিক সহ ৫পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত এক পুলিশ আধিকারিকের মাথায় লাঠির আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও লাঠির আঘাতে জখম হয়েছেন ৪ পুলিশ কনস্টেবল। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। একটি গন্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিলেও পুলিশের ওপর আক্রমনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির নেতারা।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ নারায়নগড় থানার মকরামপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে নারায়নগড় থানা এলাকারই খুড়শি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চেঙা জুনিয়ার হাইস্কুলের মাঠে বিজেপির একটি কৃষক সমাবেশ ছিল। এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ এই এলাকার সাংসদও বটে। এই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য নারায়নগড়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা গিয়েছিলেন।
বিজেপির অভিযোগ এই সভায় যাওয়ার পথেই মকরামপুর তৃনমূল কার্যালয় থেকে তাঁদের উদ্দেশ্যে টোন টিটকারি করা হয়। তখনই গন্ডগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিন্তু তখনকার মত সভায় চলে যান তাঁরা। এদিকে সভা শেষে ফেরার সেই পার্টি অফিসের সামনেই বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি থামিয়ে ফের টোন টিটকারি শুরু করেন তৃনমূল কর্মীরা। ২টি গাড়িতে ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সভায় যাওয়ার জন্য পতাকা, লাঠি ইত্যাদি ছিল তাঁদের হাতে। এরপরই গাড়ি থেকে নেমে আসেন তাঁরা। দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
এদিকে নারায়নগড়ে দিলীপ ঘোষের সভার জন্যই উত্তেজনা এড়াতে মকরামপুর বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুলিশ কর্মীরা। দু’পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন। এই সময়েই লাঠির আঘাত পড়ে পুলিশ আধিকারিক গৌতম তলাপাত্রর ওপর। মাথা ফুলে যায় তাঁর। অন্য চার কনস্টেবলের শরীরে লাঠির আঘাত লাগে। তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
তৃনমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের মকরামপুর দলীয় কার্যালয়টি দখল নিতেই এসেছিল বিজেপি সমর্থকরা। তৃনমূল কর্মীরা বাধা দিতে গেলেই গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য ঘটনার পেছনে উস্কানি ছিল তৃনমূলেরই। তারা আগ বাড়িয়ে টোন টিটকারি না করলে এই ঘটনা ঘটত না।