নিজস্ব সংবাদদাতা: আবারও সেই অপরিণামদর্শীতা আবারও সেই হতভাগ্য মৃত্যু আর এবার সেই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার স্বাক্ষী রইল মহানগরীর রাতের শহর। বাইক মৃত্যু কেড়ে নিল এক প্রতিশ্রুতিবান সাংবাদিকের জীবন, মাত্র মাস খানেকের মধ্যেই বিয়ে হতে যাচ্ছিল যাঁর, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইরত অন্যজনও নাম করা সাংবাদিক, বাড়িতে তাঁর মাত্র কয়েকবছরের বিবাহিত স্ত্রী, বাবা মা। মধ্য তিরিশের এই দুই সাংবাদিকের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাংবাদিক সোহম মল্লিকের। মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে কোমায় চলে গিয়েছেন জনপ্রিয় সাংবাদিক দুনিয়ায় ময়ূখরঞ্জন ঘোষ। একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি।বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার লর্ডস মোড়ে। প্রাথমিক সংবাদ বলছে মধ্যরাতের ওই দুই বেপরোয়া বাইক আরোহী সাংবাদিকদের কারো মাথাতেই হেলমেট ছিলনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত সোহম মল্লিকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। আগামী মাসেই বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে তাঁর। বিয়ের আগে প্রিয় বন্ধু ময়ূখের যাদবপুরের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। পরিচিত এক অধ্যাপকের সঙ্গে দেখা করে যাদবপুরের বাড়িতে সোহমকে নিয়ে ফিরছিলেন ময়ূখ। পথেই লর্ডস মোড়ের কাছে তাঁদের বাইক নিয়ন্ত্রণ হারায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোহম মল্লিকের।
গুরুতর আহত অবস্থায় ময়ূখকে উদ্ধার করেন কয়েকজন খাবার ডেলিভারি কর্মী। তাঁরাই দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা সোহম মল্লিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ময়ূখরঞ্জন ঘোষকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। একটি চোখ মারাত্মক ভাবে জখম। বর্তমানে শেষ এসএসকেএম (SSKM) থেকে তাঁকে মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্সে চিকিৎসা চলছে।
ময়ূখ ও সোহম একসময়ে কাজ করেছেন এবিপি আনন্দে (ABP Ananda)। তারপর দুজনেই চলে যান টাইমস নাউ (Times Now)। ময়ূখ এরমধ্যে কিছুদিন নিউজ এইটটিন (News 18) কাজ করে সম্প্রতি রিপাবলিক বাংলাতে (RepublicTV) যোগ দিয়েছিলেন। পেশাগতভাবে দু’জনেই ভীষণ সফল। মৃত সোহম মল্লিকের বাড়ি আবার ঝাড়খণ্ডে। আগামী মাসেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাঁর।
সূত্রের খবর, বিয়ের আগে বন্ধু ময়ূখের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। গতরাতে দু’জনেই চলে যান পরিচিত অধ্যাপকের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের বাইক। কেন, কীভাবে অত্যন্ত পরিচিত ওই রোজকার যাতায়াতের রাস্তায় এই ভয়ানক দুর্ঘটনায় পড়লেন দু’জন পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।