নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার রাতেই বাংলা-বাংলাদেশের সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল থেকে বাংলার স্থলভাগে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছিল আর রাত থেকে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। আর শনিবার ভোর রাত থেকেই দুই ২৪পরগনা ও দুই মেদিনীপুরের পাশাপাশি কলকাতা, হাওড়া ও ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ভোর থেকেই ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর এসবই বুঝিয়ে দিচ্ছে ক্রমশ গতি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে বুলবুলের মূল কেন্দ্রটি। আর আবহাওয়া দফতর থেকে সাম্প্রতিক পাওয়া খবর অনুযায়ী আজই অর্থাৎ শনিবার রাতে অথবা মধ্যরাতে সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বুলবুল । হাওয়া অফিস জানাচ্ছে গত ৬ ঘন্টায় ১৭কিমি প্রতি ঘন্টার গতিবেগে আরও উত্তরের দিকে এগিয়েছে বুল বুল। আকার নিয়েছে very severe cyclonic storm-এ। অতএব চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে নবান্ন।
এদিকে দুর্যোগের মোকাবিলায় দিঘা , বকখালি প্রভৃতি এলাকায় পৌঁছে গেছে এনডিআরএফ বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী । ৬টি জেলার বিডিওরা ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোলরুম খুলে বসে রয়েছেন। রাত পর্যন্ত খবর, অতি গভীর ঘূর্ণিঝড় রয়েছে সাগর থেকে আর মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দূরে। তার নিজের গতি বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা আগেই উপকূলে চলে আসছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শনিবার সকালের দিকে একটু শক্তি বাড়ালেও স্থলভাগের কাছে এসে একটু দুর্বল হবে। তাতেও তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বুলবুল আছড়ে পড়বে সুন্দরবনে। সুন্দরবনে বাড়তি নজর থাকলেও সতর্কতা বেড়েছে দিঘা থেকে কলকাতা, সর্বত্র। জানা গেছে শনিবার রাতেই বাংলা-বাংলাদেশের সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়।একদিকে সাগর দ্বীপ, অন্যদিকে পড়শি দেশের খেপুপাড়া।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এর মধ্যে দিয়েই বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভাগে ঢুকবে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুক্রবার থেকেই তুমুল তৎপরতা দিঘা , সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানায়। সতর্ক করা হয়েছেউপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। চলছে মাইকিং।মৎসজীবীদের দ্রুত ঘরে ফেরানো হচ্ছে। সমুদ্রে যাওয়ার উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বহু মানুষকে ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, এমনকী কলকাতাতেও। জোয়ারের জলের চেয়ে ১-২ মিটার বেশি উঁচুতে পৌঁছতে পারে অশান্ত সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস। ২০০৯ সালে আয়লার ভয়াবহতা বাড়িয়ে তুলেছিল ভরা কোটাল। এবার কোটাল গতি পাওয়ার সময়ই ঘূর্ণিঝড়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ক’দিন পরই রাসপূর্ণিমা। শনিবার দ্বাদশী, রাত আটটা নাগাদ ভরপুর জোয়ারও থাকবে সুন্দরবনের নদীতে।বুলবুলের গতিবেগের উপর নজর রাখছে পারাদ্বীপ ও গোপালপুরের ডপলার ওয়েদার র্যাডার। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, বকখালি প্রভৃতি সমুদ্র-উপকূলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। রাজ্যের তরফে কন্ট্রোল রূম খোলা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ফ্লাড সেন্টার। অবিলম্বে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে বাসিন্দাদের।