Homeএখন খবরবেআব্রু রেলের স্বাস্থ্য পরিষেবা , দেরিতে অ্যাম্বুলেন্স আসার অভিযোগ স্টেশনেই মৃত্যু...

বেআব্রু রেলের স্বাস্থ্য পরিষেবা , দেরিতে অ্যাম্বুলেন্স আসার অভিযোগ স্টেশনেই মৃত্যু তরতাজা যুবকের, ক্ষোভ উগরে দিলেন স্ত্রী

স্বামীকে কোলে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় 
নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বামীকে চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যুবক, পথিমধ্যে খড়গপুর স্টেশনে নামানো হয় তাঁকে। কিন্তু অভিযোগ সময় মত অ্যাম্বুলেন্স না আসায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। স্ত্রীর অভিযোগ তাঁর স্বামী যখন স্টেশন চত্বরে যন্ত্রনায় কাতরা খাচ্ছিলেন তখন আসছে আসবে বলে সময় কাটিয়েছে রেল সুরক্ষাবাহিনী ও রেলের সংশ্লিষ্ট কর্তারা আর প্রায় আধঘন্টা পরে তাঁকে যখন অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় তখনই মৃত্যু হয়েছে তার।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে মৃত যুবকের নাম সুনীল সরকার। ২৬বছরের সুনীলের বাড়ি নদিয়া জেলার চাকদহ থানার গৌরীপুরে। সুনীলের হৃতযন্ত্র জনিত সমস্যা ছিল। দিন কয়েক আগে সুনীলকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী স্বপ্না ব্যাঙ্গালোরে পৌঁছে ছিলেন চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিয়ে ২০২০য়ের প্রথমের দিকে আসতে বলেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্বপ্না জানান ব্যাঙ্গালোর থেকে শুক্রবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ ছেড়ে আসা সত্য সাঁই প্রশান্তি এক্সপ্রেসে ফিরছিলেন। ১২টা নাগাদ বুকে অস্বস্তি শুরু হয় সুনীলের। সারা রাত ট্রেনে প্রচণ্ড ব্যাথায় ভুগেছে সুনীল। যন্ত্রনা এতটাই ছিল যে খেতে পর্যন্ত পারেনি। এরপর আজ দুপুর  ১২টা ২০নাগাদ খড়গপুর স্টেশনে ট্রেন ঢুকলে নামানো হয় সুনীলকে। ৭নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে তাকে রেল সুরক্ষাবাহিনীর লোকেরা বোগদার দিকে নামিয়ে আনে। 

অ্যাম্বুলেন্স এল যখন সব শেষ 
সুনীলের স্ত্রীর অভিযোগ টিকিট কাউন্টার চত্ত্বরেই ২৫মিনিট পড়েছিল তাঁর স্বামী। অ্যাম্বুলেন্স আসছে আসবে বলে যখন এসেছে তখন তাঁর স্বামী মারা গেছে। এরপর রেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করে।    স্বপ্নার অভিযোগ ট্রেনের মধ্যেও যখন তাঁর স্বামী যন্ত্রণায় ছটপট করছে তখনও রেল সুরক্ষা বাহিনী, টিটি কেউই তাঁর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনাক্রমে রেলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আজই খড়গপুরে একটি সেমিনারে অংশ নেন রেলের স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল এইচ প্রদীপ কুমার। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা। 

  ঘটনার গভীরে গিয়ে আরও মারাত্মক তথ্য জানা গিয়েছে। রেল হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের তিনটিই বাতিল বলে গণ্য হয়েছে অনেকদিন। রেলকে তাই নির্ভর করতে হয় ভাড়া করা অ্যাম্বুলেন্সের ওপরে। সেই কারনেই কি দেরি আর তারই মাশুল দিল ২৬বছরের তরতাজা যুবক?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্টেশন থেকে মাত্র ২কিলোমিটার দুরে রেল হাসপাতাল! সেখানে পৌঁছাতে একজন হৃদ রোগির সময় লেগে গেল আধঘন্টার মত। রেল হাসপাতালে আছড়ে পিছড়ে কেঁদেই চলেছেন স্বপ্না। ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে দেননি স্বামীকে। ট্রেনের মধ্যে ২৪ঘন্টা কাটলেও  কোনও চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া হয়নি তাঁর স্বামীকে বলে আক্ষেপ করে চলেছেন তিনি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রেলের কর্তারা অ্যাম্বুলেন্সের ঘাটতির কথা মেনে নিলেও এমন ঘটনা জানেননা বলেই জানিয়েছেন। দক্ষিনপুর্ব রেলের খড়গপুর মণ্ডলের জন সংযোগ আধিকারিক তথা বরিষ্ঠ বানিজ্য আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন তিনি।

RELATED ARTICLES

Most Popular