নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃণমূলের লড়াই এখন আর শুধুই বিজেপি আর বাম-কংগ্রেসের জোটের সঙ্গে নয়, নির্বাচনের আড়াই দিনের মাথায় খড়গপুর তৃণমূলের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে টিম আরজেডিও। ভোটের দিন এই টিম আরজেডির ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত খোদ তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। ভোটের দিন বাজারে নেমে এই টিম নিজ নিজ এলাকায় তৃণমূলেরই ঘরের ভোটে থাবা বসাবে এমনটাই আশংকায় তৃনমূল। আর সেই কারনেই সন্দেহে ভাজন টিম আরজেডির বেশ কিছু নেতা কর্মীকে ভোটের দিন ক্লোজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
না, এই আরজেডি কোনও রাজনৈতিক দল নয়। আসলে এরা হল তৃণমূলেরই অন্দরে থাকা খড়গপুর তিন তৃণমূল নেতা রবিশংকর পান্ডে, জহরলাল পাল আর দেবাশিস চৌধুরী অনুগামী সংক্ষেপে যাদের আরজেডি বলা হচ্ছে। তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর এই তিন নেতা প্রদীপ সরকারের হয়ে কাজ করলেও এঁদের অনুগামীরা মন থেকে কাজ করছেনা। প্রদীপ সরকারের অনুগামীদের বক্তব্য এঁদের অনেকেই প্রচারে নেমেছেন স্রেফ প্রচারের জন্য বরাদ্দ টাকার ভাগ নেওয়ার জন্য। ওই অনুগামী বলেন, ” দাদা (প্রদীপ ) রীতিমত বিরক্ত । বলেছেন, জলের মত টাকা খরচ হচ্ছে কিন্তু কয়েকটি এলাকায় সেই ভাবে কাজই হচ্ছেনা।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এটা ঘটনা যে এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের বকলমে প্রদীপ সরকার প্রচারে যে পরিমান খরচ করেছেন তার ধারে পাশে নেই অন্য রাজনৈতিক দল গুলি। বিরোধিদের অভিযোগ কমিশনের নির্দেশে একজন প্রার্থী যেখানে সর্বাধিক ২৮লক্ষ খরচ করতে পারে সেখানে প্রদীপ ফেল্ক্সই লাগিয়েছেন ২০লক্ষ টাকার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিরোধির খুব অমূলক কিছু বলছেননা। শহর জুড়ে কর্পোরেট স্টাইলে প্রচারে প্রদীপ। বড় বড় ফ্লেক্স, ফেস্টুন , ব্যানার, পোষ্টারের পাশাপাশি প্রদীপ দক্ষিন ভারতীয় কায়দায় বিশাল বিশাল কাট আউট , হিলিয়াম বেলুন ইত্যাদির ব্যবহার করেছেন। কিছু কর্মী নাকি দৈনিক ভাতাও পাচ্ছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এছাড়া কলকাতা থেকে আসা নেতা নেত্রী অভিনেত্রীদের খরচ মুলত প্রদীপকেই ব্যয় করতে হচ্ছে। তাছাড়া সভা সমিতি মাইক প্রচার গাড়ি ইত্যাদি আছে। প্রদীপ অনুগামীর বক্তব্য, ‘দল যা টাকা দিয়েছে তা দিয়ে কর্মীদের খাওয়া খরচই উঠে আসবেনা। ফলে সিংহভাগ খরচ দাদারই। আর এই পয়সাটাই ধরতে কেউ কেউ রাতারাতি দাদা ভক্ত হয়ে গেছে। সারা মাস এরা কোনও কাজই করেনি শেষ বেলায় এরা টাকা ধরতে বেরিয়ে পড়েছে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু শেষ বেলায় প্রচারে নেমেও এরা যে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেই এমন ভরসা কম। প্রথম স্তরের নেতারা আরজেডি নিজেরা প্রকাশ্য প্রচারে নামলেও তাঁদের অনুগত দ্বিতীয় স্তরের নেতাদের কেউ কেউ নড়াচড়া করছেননা এখনও। আরও সমস্যা ওই দ্বিতীয় স্তরের নেতাদের অনুগত নীচু তালার সক্রিয় কর্মী বাহিনীকে নিয়ে যারা নিজের এলাকা থেকে বুথে দাঁড়িয়ে ভোটটা করাবেন যাঁদের চোখের ভাষা বুঝতে পারেন ভোটের লাইনে দাঁড়ানো সমর্থকরা। এদের অনেকেই নিজের প্রার্থী না করার ক্ষোভটা বুঝে নিতে চাইবেন। যেমনটা প্রার্থী ঘোষনার পর এই নেতাদের কেউ কেউ বলেছিলেন, এবার ভাবার সময় এসেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ভোটের দিন বা তার আগেই এদের কাউকে কাউকে ক্লোজ করা হতে চলেছে। এই ক্লোজ কয়েক রকমের। এক, সরাসরি ভোটের দিন তাঁকে কোনও কাজের দায়িত্ব না দিয়ে ক্যাম্পেই বসিয়ে রাখা। দুই, নিজের এলাকার বাইরে কাজ করানো অথবা ঘর থেকেই বেরুতে মানা করা।