নিউজ ডেস্ক :দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। রবিবারই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন সুব্রত বক্সী।দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে।মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর থেকেই শুভেন্দুকে নিয়ে অব্যাহত জল্পনা কল্পনা।দাদার অনুগামী লেখা পোষ্টার পড়েছে সর্বত্র।
এরই মধ্যে গেরুয়া পাগড়ি পরে দেখা গিয়েছিল কিছু পোস্টার–ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারীকে। পাগড়ি পরে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। তবে এবার শুভেন্দু অধিকারীর নামে খোলা হল দফতর। কাঁথি শহরে তৃণমূলের ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়টি বদলে গিয়ে হয়েছে ‘শুভেন্দুবাবুর সহায়তা কেন্দ্র’। অবাক করার মতো সেই কার্যালয়ের রং নীল–সাদার বদলে হয়ে গিয়েছে গেরুয়া।
দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর টানাপোড়েনের প্রথম থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীর পাশে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডা। প্রকাশ্যেই সমর্থন করেছিলেন শুভেন্দুকে। আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলকে।পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে। উদ্বেগ প্রকাশ করে বলতে শোনা যায় , শুভেন্দু অধিকারীর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।প্রয়োজনে তিনি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন ।
শনিবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, দিদির সব কিছু ঢপ। দিদির স্বাস্থ্যসাথী ঢপ। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনও টাকা নেই। দিদির যা ঋণ আছে তা শোধ হবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন শুভেন্দুকেই দরকার। আর ত্যাগ বলতে গেরুয়া।
এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি দলবদলের হাওয়ায় দাপট শক্তিশালী হচ্ছে? অস্বস্তি বাড়ে শাসকদলের অন্দরে।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানালেন কনিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা। তার কথায়, দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার কারণেই এই বহিষ্কার। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি , শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের কারণেই দলের এই সিদ্ধান্ত। কিছুদিন আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বাঁকুড়ার এক নেতাকে সাসপেন্ড করে দল। তাঁর বিরুদ্ধেও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছিল শাসকদল।