Homeমহানগরআসানসোল১৪ই ডিসেম্বর থেকেই চলবে মেদিনীপুর-খড়গপুর-হাওড়া রুটে একগুচ্ছ এক্সপ্রেস! দেখে নিন সময়সূচি ও...

১৪ই ডিসেম্বর থেকেই চলবে মেদিনীপুর-খড়গপুর-হাওড়া রুটে একগুচ্ছ এক্সপ্রেস! দেখে নিন সময়সূচি ও স্টপেজ

অভিনন্দন রানা: লোকালের পর এবার একগুচ্ছ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হতে চলেছে মেদিনীপুর খড়গপুর এবং হাওড়া শাখায়। এরফলে আরও সুবিধা ভোগ করতে চলেছেন এই রুটের যাত্রীরা। যদিও সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে কারন প্যাসেঞ্জারের পরিবর্তে ট্রেনগুলি এক্সপ্রেস হয়ে যাওয়ায় বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। দক্ষিণ পূর্ব রেলের প্রকাশ করা সময় সূচিতে দেখা যাচ্ছে সমস্ত লোকাল ট্রেনকেই এক্সপ্রেসে প্রিন্ট করে হয়েছে। সময়সারনী বদলানো তো দূরের কথা, একই স্টপেজ রয়েছে। একাধিক পুরোনো লোকালয়ের নাম বদলে এক্সপ্রেস করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভাড়া বেড়ে গেল প্রায় কয়েক গুণ।

দক্ষিণ পূর্ব রেল যে জনপ্রিয় প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে এক্সপ্রেস করে ভাড়া তিনগুন বাড়াতে চলেছে সেই খবর সর্বপ্রথম আমরাই প্রকাশ করেছিলাম। দক্ষিণ পূর্ব রেলের তালিকা অনুসারে দেখা মেদিনীপুর আদ্রা সেকশনে সমস্ত লোক্যালকে স্টপেজ একই রেখে এক্সপ্রেস করে দেয়া হয়েছে। ফলে সব স্টপেজে ট্রেন দাঁড়ালেও সেগুলি এক্সপ্রেস হিসেবে গণ্য হবে। ফলে কম করে তিনগুন ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের।

দক্ষিণ পূর্ব রেলের ঘোষণা অনুযায়ী হাওড়া-আদ্রা-চক্রধরপুর/বোকারো, খড়গপুর গোমো, খড়গপুর আসানসোল লোকাল গুলিকে এক্সপ্রেসে উন্নীত করে ১৪ই ডিসেম্বর থেকে চালানো হবে। অন্যদিকে এই রুটে একমাত্র মেদিনীপুর আদ্রা লোকালটিই লোকাল হিসেবে চলবে। ট্রেনগুলো পুরোনো সময়সূচি অনুসারেই চলবে। হাওড়া আদ্রা চক্রধরপুর/বোকারো এক্সপ্রেসটি হাওড়া ছাড়বে রাত্রি 12:05, খড়গপুর 2:20, বাঁকুড়া 4:15, আদ্রা 5:15 পৌঁছাবে। এরপর চক্রধরপুর গামী ট্রেনটি পুরুলিয়া, সিনি হয়ে চক্রধরপুর পৌঁছাবে সকাল 9:15 তে। অদ্রাতে বোকারো গামী কোচগুলিকে আলাদা করে সাঁওতালডিহি হয়ে বোকারো পৌঁছবে সকাল 8:45এ। উল্টো পথে ট্রেনটি আদ্রা ছাড়বে রাত্রি 10:50 এ, বাঁকুড়া 11:56, খড়গপুর রাত্রি 2:00 হয়ে হাওড়া পৌঁছবে ভোর 4:30এ। তবে ডাউন ট্রিপে ট্রেনটির স্টপেজ কিছু কমিয়ে পাঁশকুড়ার পর সোজা হাওড়াতে স্টপেজ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে খড়গপুর আসানসোল এক্সপ্রেসটি খড়গপুর ছাড়বে ভোর 6:20 এবং আসানসোল ছাড়বে বিকেল 5:05এ। খড়গপুর গোমো এক্সপ্রেসটি খড়গপুর ছাড়বে দুপুর 2:20 এবং গোমো ছাড়বে সকাল 6:15 তে।

তবে এই ঘোষণা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা হলেও ক্ষোভ রয়েছে। এই লাইনে এমনিতেই লোকাল ট্রেন কম। ফলে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির স্টপেজ সংখ্যা বেশি। তার ওপর এইভাবে লোকাল ট্রেনগুলিকে এক্সপ্রেস ট্রেন করে ভাড়া বাড়ানোয় সকলেই ক্ষুব্ধ। ট্রেন চালু হওয়ার পর স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাঁকুড়া থেকে প্রায়ই কাজে মেদিনীপুর আসেন পেশায় গৃহ শিক্ষক সুমন চক্রবর্তী।

চক্রবর্তীর কথায়, “লোকাল ট্রেনগুলো সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছিল। যেভাবে এইসব ট্রেনগুলির ভাড়া ঘুরপথে বাড়ানো হল তাতে এলাকার মধ্য এবং নিম্ন আয়ের মানুষেরা প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যদি ট্রেনে ৭০-৭৫ টাকা দিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় নিয়ে মেদিনীপুর পৌঁছতে হয় তাহলে ঐ টাকা দিয়ে বাসে যাওয়া ভালো। তুলনামূলক কম সময়ে পৌঁছাবে।” শুধু সুমন বাবু নয়, বেশিরভাগ ডেলি প্যাসেঞ্জারদের মতও একই রকম।

RELATED ARTICLES

Most Popular