নিজস্ব সংবাদদাতা: এই সময়ের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড দিল্লিতে। উত্তর দিল্লির আনাজ মান্ডির একটি ব্যাগের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনায় এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা ৪৩ ছাড়িয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন আরও কিছু মানুষ। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশংকা রয়েছে। আতঙ্ক ছড়াল এলাকা জুড়ে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতরা সবাই ওই কারখানার শ্রমিক এবং এঁদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে দমবন্ধ হয়ে। আরও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৷ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বেশকিছু জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ আশংকা প্রকাশ করেছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য।
ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে দমকলের ত্রিশটি ইঞ্জিন, দমকলকর্মীরা প্রাণপন কাজ করছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে দিল্লি পুলিশ এবং বিশাল দমকল বাহিনী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরবেলার ৫টা ২২মিনিট নাগাদ ওই কারখানাটিতে আগুন লাগে। তবে ঠিক কি ভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, দ্রুত আগুন পাশের দুটি বহু তলেও ছড়িয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কারখানাটিতে প্রায় ৬০জন কর্মী কাজ করতেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে।
ডেপুটি ফায়ার চিফ অফিসার সুনীল চৌধুরী জানিয়েছেন, ছয়শো স্কয়ার ফিট প্লটের ওই কারখানাতে রবিবার সকাল বেলা আগুন লাগে। তিনি আরও জানান, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিপাশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানা গিয়েছে, কারখানাটিতে মূলত স্কুল ব্যাগ, বোতল এবং অন্যান্য সামগ্রী তৈরি হয়। ঘটনার সময় কারখানার ভিতরে শ্রমিকরা সকলেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। ফলে আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পারেননি তাঁরা কেউ। এই ঘটনায় সকাল থেকেই যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর দিল্লির আনাজ মান্ডির ঝাঁসি রোডে। সমস্ত গাড়িকে অন্য রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা ২৩বছরের মনোজ জানিয়েছে তাঁর ১৮বছর বয়স্ক ভাই নবীন এই কারখানায় ব্যাগ তৈরির ইউনিটে কাজ করত। ভোরেই এক বন্ধু মারফৎ কারখানায় আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ছুটে এসেছেন কিন্ত ভাইকে খুঁজে পাচ্ছেননা। তাঁকে কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাও পুলিশ বলতে পারছেনা। এরকমই বহু মানুষ তাঁদের আত্মীয় স্বজনের খোঁজে এলাকায় ভিড় জমিয়েছে।