নিউজ ডেস্ক: বাঘের নাম শুনলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে প্রাণ। আর সেই বাঘই যদি আচমকা এসে ঘাড়ের ওপর লাফিয়ে পড়ে। কী দশা হবে ভেবে দেখেছেন কখনও! এরকমই একটি হাড় হিম করা ঘটনা ঘটেছে আসামের তেজপুরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এলাকায়। জীবনহানি ঠেকাতে বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
জানা গিয়েছে, আসামের তেজপুর শহরের রাস্তাতে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আচমকাই চলে আসে, আর পথচলিত দুই ব্যক্তির ওপরে হঠাৎ করে হামলা চালায় সেটি। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে । তেজপুর শহরের উপকণ্ঠে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আরও ভয়ঙ্কর বিষয় যেটি জানা গিয়েছে, তা হল বাঘটি এখনও পর্যন্ত অধরা।
বনদফতরের আধিকারিকেরা মনে করছেন, ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি কাজিরাঙ্গা আর নেমরি জাতীয় উদ্যানের সংযোগকারী স্থল দিয়ে বেরিয়ে এসেছে। ওই পথে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি নাপাম অঞ্চলে চলে আসে বাঘটি।
কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের পরিচালক পি শিব কুমার জানান যে, “বাঘটি কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের নবম করিডোর দিয়ে বেরিয়ে জিয়া ভরালি অঞ্চলের দিকে চলে যায়। আর সেখানেই পথচলিত দুই ব্যক্তিকে আচমকা আক্রমণ করে বাঘটি। বর্তমানে গুরুতর আহত ঐ দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং বাঘটিকে ধরবার জন্য প্রশাসনের তরফে আপাতত ওই অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শিবকুমার বাবু আরও জানান যে, “পুরো বিষয়টার ওপর আমরা নজর রাখছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই বাঘটিকে ধরে ফেলা যাবে। মনে হচ্ছে বাঘটি নেমরি ছেড়ে বুরহা চাপেরির দিকে যাবে এবার!”
শিবকুমার বাবু জানান যে, বাঘটির খোঁজ পেলে, তাকে ধরার জন্য প্রয়োজনে ঘুম পাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন। না হলে খোলা অবস্থাতে বাঘটি ঘুরে বেড়ালে সাধারণ মানুষের বিপদ বাড়তে বাড়ে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য প্রশাসনিক তরফে একটি টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এছাড়াও পশুচিকিৎসক এবং অন্যান্য সহকারী কর্মীরাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তেজপুরের বনবিভাগের আধিকারিকেরা পুরো ব্যাপারটা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন বলেও খবর।পথচলতি দুজন ব্যক্তিকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের তাড়া করার সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হাড় হিম করা এই ভিডিও দেখে বাকরুদ্ধ অনেকেই।