✍️কলমে: তাহমিনা কোরাইশী
বৃষ্টির উঠোনে স্মৃতিরা একান্নবর্তী পরিবার
বটের জটার মত জড়িয়ে থাকা
সেই তেঁতুল তলার চালাঘর
রান্না চলছিল হাত কয়েক দূর
বিশাল হাড়িতে মাশডালের খিচুড়ি
কুমড়ো পাতায় মোড়ানো শর্ষে ইলিশ
স্নিগ্ধ সোঁদা গন্ধে ভরপুর চৌহদ্দি
বৃষ্টি ভেজা বাতাস
নিষ্পলক চেয়ে থাকা অনাহারে চোখ।
আমি তো তোমায় শিখিয়ে ছিলাম চোখেরই ভাষা
কিছু কি মনে আছে তার?
আমি নিরূপায় তুমি নিরুদ্দেশ
ভাষা ভুলে আজ তুমি নতুন বর্ণমালায় শিক্ষানবীশ
অন্য ভাষার সাথে নিত্যদিনের পরগাছা জীবন
তবুও ঐ বেশে আছো তো বেশ
আমি কেবলিই বৃষ্টির নামতা ভুল করে আওড়াই
বর্ষার বর্শা ফলায় খুঁড়ে খুঁড়ে
হৃদয়ের পোড়া মাটির জমিন
কখনও স্মৃতির শরীরে জড়াই ময়ূরী পেখম
উঠোন ভর্তি জল ছলাৎ ছল
অবিরাম ঝরে বর্ষণ
আকাশ আঙ্গিনা টিনের চালাঘর
আর – আমার দুনয়ন ।
ঘুড়ি নাটাই
আমি ছোট্ট ঘুড়ি উড়ি বাতাসের সাথে মিতালী করি
অফুরান আবেগ প্রেমিক সুতোয় ভরে
আকাশ মাঠে উড়ি
কখনও দুরন্ত রোষে কষে ধরি বাতাসের হাত
দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করি লুটোপুটি
ঝিরিঝির বাতাস চুম্বনের স্পর্শ আমার অধর
আঁচল টানে হাওয়া বুনো আকর্ষণে।
বায়ু সমুদ্রের জোয়ার ভাটায় আমি মৎসকন্যা
রংধনু রঙ শাড়ি আমার লম্বা চুলের বাহারী বেনী
চলি দুলে দুলে বাতাসের কূলে কূলে আকাশ পরী,
তুমি প্রেমিক আমার শক্ত হাতের নাটাই সুতো
যদিও আবেশে বাতাস কেলিতে টানাপোড়েন
তবুও তোমাকেই ভালোবাসি প্রেমিক আমার
নাটাই সুতো।
আমি তোমার হাতের সুতোয় বাঁধা কাগজ বাঁশি
বড় বেশী ভালোবাসি তোমারই কাছাকাছি
ফিরে ফিরে আসি।