ওয়েব ডেস্ক : নভেম্বরের প্রথমদিকেই রাজ্যে এসেছিলেন অমিত শাহ। গত ৫ নভেম্বর বাঁকুড়ায় পৌঁছে বিরসা মুন্ডার গলায় মালা পড়ানোর কর্মসূচি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর থেকেই শুরু হয় তরজা। অনেকেই দাবি করেন সেটি আদতে বিরসা মুন্ডার মূর্তিই নয়। এরপর দীর্ঘ বাদানুবাদের পর স্থির হয় বাঁকুড়ার পুয়াবাগান মোড়ে বসবে বিরসা মুন্ডার মূর্তি। আদিবাসী সমাজের চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু
ডিসেম্বরেই সেখানে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গ সফরে এসে বাঁকুড়ায় বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী বাঁকুড়ার পুয়াবাগান মোড়ে বিরসা মুন্ডার এক আদিবাসীর মূর্তিতে মালা পড়ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এরপরই একাধিক আদিবাসী সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, যেই মূর্তিটিতে অমিত শাহ মাল্যদান করেছেন সেটি আসলে বিরসা মুন্ডার নয়। সেটি একজন আদিবাসী শিকারীর মূর্তি৷ এর পরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তৃণমূল – বিজেপির তরজা। এরপরই আদিবাসী সমাজের তরফে ওই জায়গায় বিরসা মুন্ডার মূর্তি বসানোর দাবি তোলা হয়। এদিকে সামনেই নির্বাচন, ফলে চাপের মুখে পরে সোমবার তাদের সদস্যদের নিয়ে পুয়াবাগান মোড়ে জমি চিহ্নিত করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু।
এবিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানান, “মূর্তি বসানোর জন্য জমি চিহ্নিত হয়েছে। আদিবাসী শিকারির মূর্তির পাশেই বসবে বিরসা মুন্ডার মূর্তি। আদিবাসী সংগঠনগুলি চাঁদা তুলে মূর্তি বসাবে।” এদিকে এবিষয়ে বিজেপির তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, বাঁকুড়া শহরের পুয়াবাগান মোড়ে আগে বিরসা মুন্ডারই মূর্তি ছিল। কিন্তু শাসকদলের তরফে এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সেটিকে সরিয়ে এই আদিবাসী শিকারীর মূর্তিটি বসানো হয়েছে।