নিজস্ব সংবাদদাতা: নন্দীগ্রাম: “ভোটের আগে এসেছেন, ভোটের পরেও আসবেন তো? ৭ই জানুয়ারির ভোরে নন্দীগ্রামে আসবেন তো?” শহীদের মাটিতে, ‘নন্দীগ্রামের পবিত্র মাটি থেকে রাজনীতি করবনা’ বলেও রাজনীতির কথাটা বলেই ফেললেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ১৩বছরের মাথায় নন্দীগ্রামের মাটিতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারের পাশাপাশি তৃনমূল কংগ্রেসের ব্যানারেও শহীদ দিবসের সভা করা হচ্ছে এবং সেই সভাকে পাল্টা ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির পাল্টা সভা বলেই বলা হচ্ছে যেখানে মন্ত্রী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিন নাম না ধরেই সেই ফিরাদ হাকিমকেই কার্যত কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘ভালো লাগছে, খুব ভালো লাগছে। ১৩বছর পরে নন্দীগ্রাম কে মনে পড়েছে। ভোটের আগে নন্দীগ্রামে আসছেন, ভোটের পরেও আসবেন তো?” উল্লেখ্য ৭ই জানুয়ারি, ১৪ই মার্চ, ১০ই নভেম্বর দিন গুলি নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পালন করে থাকে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি, যা কখনোই তৃণমূলের ব্যানারে হয়না।
এ’বছর নন্দীগ্রামের মাটিতে মাত্র ১২ঘন্টার নোটিশে তৃনমূল সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক কালে শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন ভূমিকা, সরকারি সভা, দলীয় সভা এড়িয়ে যাওয়া, স্বাধীন ভাবে কর্মসূচি নেওয়া ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে তৃনমূল এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নন্দীগ্রামের পাল্টা সভা করার দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছে।তাই মনে করা হচ্ছে ফিরহাদ হাকিম তথা রাজ্য তৃনমূলকে কটাক্ষ করেই এই কথা গুলো বলেছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে এতদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে সভা হলেও মঞ্চে মমতার ছবি থাকত। কিন্তু এই প্রথম মঞ্চে মমতার ছবি রাখাই হয়নি শুধু তাই নয় রাজ্যে প্রথম যিনি মমতা ব্যানার্জিকে জনগনমন অধিনায়িকা বলে সম্বোধন করেছিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী আজ তাঁর নামও উচ্চারন করেননি। বরং এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘ সেদিন শুভেন্দু অধিকারী নেতা মন্ত্রী হয়ে নন্দীগ্রামে আসেনি, এসেছিল সাধারন মানুষ হিসাবে। তাই শুভেন্দু অধিকারী কাউকে ভয় করেনা। আসুন তৈরি আছি দেখা হবে লড়াইয়ের ময়দানে।’
পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম যেমন শুভেন্দু অধিকারীর গোকুলনগরের মাঠের পাল্টা সভা করতে চলেছেন হাজরাকাটাতে বিকালের সেই সভার পরেই ফের সেই হাজরাকাটাতেই পাল্টা সভা করবে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি যেখানে বক্তব্য রাখবেন তমলুকের সাংসদ তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। ফলে সব মিলিয়ে জমজমাট জল্পনায় নন্দীগ্রামের মাটি। আর সেই জল্পনা আরও উস্কে মঙ্গলবার ভারত মাতা কী জয় বলে মঞ্চ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।