নিজস্ব সংবাদদাতা: একটি প্রাথমিক স্কুলের স্মারকভবন তৈরি করার জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা তুলে দিলেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানা এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর এই উদ্যোগে আপ্লুত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘাটাল পশ্চিম চক্রের শালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের পূর্তি অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইয়াকুবপুর বা আকোপুর গ্রামের বাসিন্দা ৬৬ বছরের দিলীপ পাল বলেন, ” জীবনের অনেক গুলো দিন আমি নিজের এবং আমার পরিবারের জন্য দিয়েছি। এবার আমি আমার আশেপাশের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য, এলাকার জন্য কিছু করে যেতে চাই। আর সেই কারনে আমি একটি সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক ভবন গড়ে দেওয়ার কথা বলেছি। আমি শুনেছি স্কুলটি ফাইভ অবধি হবে। এরপরও যদি আরও ক্লাশ বাড়ে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পাল বলেন, ” আমি যখন প্রাথমিক স্কুলে পড়তাম তখন বাড়ির কাছে স্কুল ছিলনা। যেতে হত দেড় কিলোমিটার দুরে, হাইস্কুলে আরও দুরে। গ্রামের মধ্যে একটা স্কুল শুধুই ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়, সেই গ্রাম ও তার আশেপাশের গ্রামের জন্য সম্পদ। তাই আরও বড় হোক এই স্কুল এটা চেয়েই আমার এই ভাবনা।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পাশাপাশি দিলীপ বাবু জানিয়েছেন যে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেমন্ত ভূঁইয়া সহ অন্যান্য শিক্ষকরা এত দরদ দিয়ে এই স্কুল এবং ছাত্রছাত্রীদের পরিচর্যা করেন যা আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। তাঁরা চাকরি করতে এসে যদি স্কুলকে এত ভালবাসা দিয়ে থাকেন তবে গ্রামের মানুষ হয়ে আমরা এই টুকু করতে পারবনা?”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিলীপ বাবুর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, শালিকা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। শিক্ষক হারাধন মোদক বলেন, ”আমরা সত্যি আপ্লুত দিলীপ বাবুর এই উদ্যোগের জন্য। আমরা আশা করছি এভাবেই সবাই এগিয়ে আসবেন। সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকেই আমাদের পঞ্চমশ্রেনী চালু হবে সেক্ষেত্রে দিলীপ বাবুর ওই ভবন তৈরির অনুদান আমাদের খুব উপকারে লাগবে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
৫০ বছর উপলক্ষ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ১লক্ষ ২০হাজার টাকা ব্যয়ে মহামানব বিদ্যাসাগরের পূর্নাবয়ব ফাইবার মূর্তি নির্মাণ করে দিয়েছেন
এলাকারই কৃতি সন্তান ড: তরুণ সিংহ ( বরিষ্ঠ উপ মহানির্দেশক , ভারতীয় আয়ুধ নির্মান বোর্ড।) অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক শংকর দলুই সহ আরও অন্যান্য সম্মানীয় ব্যাক্তি বর্গ। শ্রী দলুই তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে ৩লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন। আসন অলংকৃত করেছিলেন বিষ্ণুপুর বিবেক সংঘে র মহারাজ অঞ্জন মহাপাত্র মহাশয়।