Homeএখন খবরপূর্ব বর্ধমানের ২ নং জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দূর্ঘটনা, ট্রাকের ধাক্কায় মৃত সিভিক...

পূর্ব বর্ধমানের ২ নং জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দূর্ঘটনা, ট্রাকের ধাক্কায় মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

ওয়েব ডেস্ক : ফের গতির বলি। বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ট্রাক আটকাতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পুরসা এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বছর ৩০ এর মন্টু কুমার দাঁ। তিনি বেশ কয়েকবছর যাবৎ পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঘটনার পর পুলিশি তৎপরতায় বুধবার রাতেই বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ট্রাকটিকে আটকানো হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই লড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে গলসি থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার মন্টু বুধবার রাতে পুরসা এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর ট্রাফিক সামলাচ্ছিলেন। সে সময় আচমকা একটি ট্রাক দ্রুত গতিতে ছুটে আসে। গাড়িটির গতি দেখে মন্টু ট্রাকটিকে থামানোর চেষ্টা করলে লরিটি থামেনি বরং আরও গতি বাড়িয়ে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধাক্কা মেরে তাকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, ট্রাকটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে মাঝেরপুল এলাকায় ফের আর একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে ওই ঘাটক ট্রাকটি। এরপর সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রাকটিকে ঘিরে ধরে। ঘটনার পর স্থানীয়দের তরফে তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ঘাতক ট্রাকটির চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

এদিকে গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায়, ধৃত চালকের নাম নৌসদ সাহারুদ্দিন আহমেদ। সে উত্তরপ্রদেশের। জানা গিয়েছে, ঘটনায় ইতিমধ্যেই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে ট্রাকটিও আটক করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই পুরসা মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সড়কে প্রতিদিন বেপরোয়া গতিতে লরি, ট্রাক ও অন্য গাড়ি যাতায়াত করে। এর জেরে মাঝে মধ্যেই এখানে দূর্ঘটনা ঘটে। ফলে এদিন তারা গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে, সিভিক ভলেন্টিয়ার মন্টু কুমার দাঁ-এর মৃত্যুর খবর গলসি থানার রামপুর গ্রামে জানানোর পর থেকেই মন্টুর পরিবারে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular