নিজস্ব সংবাদদাতা: একের পর এক সরকারি এমনকি দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে গেছেন যিনি এবং যা নিয়ে রীতিমত রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক কালের কর্মসূচিতে তৃনমুল এমনকি মমতা ব্যানার্জীর নাম ধরতে দেখা যাচ্ছেনা তাঁকে। বরং কটাক্ষ করে বলেছেন, যে অতীতকে ভুলে যায় তাঁর ভবিষ্যতও অন্ধকার। ইদানিং তাঁর মুখে সিপিএমের বহু নেতার প্রশংসা, বিজয়াদশমী উপলক্ষ্যে তাঁর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে গেরুয়া রঙ ইত্যাদি বহু বিষয় নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে তখন হলদিয়া আর নন্দীগ্রামের সরকারি মঞ্চ তিনি কেন বারংবার ব্যবহার করছেন তাই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে যেমনটা উঠল রবিবারও।
রবিবার ফের রাজ্যের পরিবহণ ও সেচ দপ্তরের মন্ত্রী সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গেল সরকারি কর্মসূচিতে। এদিন সন্ধেয় হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অর্থানুকূল্যে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের হোসেনপুর ব্রিজ থেকে রাজারামচক শিক্ষানিকেতন পর্যন্ত বসানো পথবাতির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পর্ষদ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৩৬ লক্ষ ৪২ হাজার ৪২৫ টাকা ব্যায়ে বসানো হয়েছে এই এলইডি বাতি। এদিনই নন্দীগ্রামের কর্মসূচি শেষে মন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন সুতাহাটার রামচন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডের পথবাতি উদ্বোধন কর্মসূচিতে। সুতাহাটা ব্লকের রামচন্দ্রপুরে সংখ্যালঘু এলাকায় হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বা এইচডিএর উদ্যোগে এলইডি পথবাতি উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
শুধু উদ্বোধন নয় নন্দীগ্রাম ও হলদিয়াতে কিছু প্রকল্প যে শীঘ্রই রূপায়ন হবে সে কথাও জানিয়ে দেন তিনি।
এর আগে পুজোর মুখে হলদিয়াতে পুলিশের রোড ম্যাপ এবং নন্দীগ্রামের আমফান বিদ্ধস্তদের সহায়তা প্রদানের কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি। শুভেন্দু আধিকারী কী তবে তৃণমূলে থেকে যাচ্ছেন? তিনি তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করছেন? এই নিয়ে জোর জল্পনা তাঁর দল এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে। বিশেষ করে শনিবারই নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনীর সভা থেকে বলেছিলেন, “যতক্ষণ না আমার মুখ থেকে কিছু শুনছেন ততক্ষন বাজারি সংবাদ উপেক্ষা করুন এবং নিজের কাজ নিজে করুন।” স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তিতে তৃণমূলের অনেকেই।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এখুনি এসবের মধ্যে তেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন কিছু দেখতে পাচ্ছেননা। তাঁদের মতে কৌশলগত কারনেই শুভেন্দু অধিকারী হলদিয়া বা নন্দীগ্রামের সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন যাতে তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে হলদিয়া নন্দীগ্রামের সরকারি মঞ্চের দখল অন্য কেউ নিতে না পারেন। কাঁথির দুর্গের পর হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে খুবই জরুরি তাই এখানকার কোনও মঞ্চই তিনি ছাড়বেননা। সুতরাং শুভেন্দু অধিকারী সরকারি মঞ্চে অংশ নিচ্ছেন মানেই পরিস্থিতির গুনগত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে এমনটা ভাবার কোনও নেই।এমনকি নিজের জেলাতেও যদি তিনি নতুন করে সরকারি মঞ্চ শেয়ার করেন তাতেও কিছু নতুন আশা করা যায়না। তেমনটি তখনই ভাবা যাবে যখন তিনি জেলার বাইরে তিনি কোনও সরকারি বা দলীয় মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন।