নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার সন্ধ্যা বেলায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের নর্দমা থেকে একটি কাটা মুন্ডু উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। কী ভাবে কোত্থেকে ওই মুণ্ডুটি নর্দমায় এসে পৌছালো তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। রীতিমতো ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
জেলার শীর্ষ স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিকের উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয় মুণ্ডুটিকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মেডিক্যালের পড়ুয়াদের জন্য ব্যবহৃত ডিসেকশন ল্যাব বা শব ব্যবচ্ছেদ কক্ষ থেকেই কোনো ভাবে ছিন্ন মুণ্ডুটি নর্দমায় এসে পড়েছে।
জানা গেছে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছটা থেকে সাতটা নাগাদ মেডিক্যাল কলেজেরই কয়েকজন পড়ুয়ার নজরে আসে যে হাসপাতালের বহির্বিভাগ সংলগ্ন নর্দমার মধ্যে পড়ে রয়েছে মুণ্ডুটি। তাঁদেরই মারফৎ হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা বিষয়টি জানার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে মুণ্ডুটি উদ্ধার করে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “প্রথম দিকে একটু বিচলিত হলেও পরে বোঝা যায় মুণ্ডুটি আদতে রক্ত বিহীন গলিত শবেরই একটি অংশ। সদ্য কোনও মুন্ডু হলে এমনকি দু’চার দিন আগের মুন্ডুও কেটে নেওয়া হলে তাতে রক্তের দাগ থাকে। প্রাথমিক ভাবে এক্ষেত্রে তার কিছুই মেলেনি। যেহেতু এটি মেডিক্যাল কলেজ তাই ডিসেকশন রুম থেকেই মুণ্ডুটি চলে আসার সম্ভবনাই বেশি। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলেও তেমনটা মনে হয়েছে। আপাতত ওনাদের হেফাজতেই সেটা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
কলেজ কর্তৃপক্ষর তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে মুণ্ডুটি ডিসেকশন ল্যাব থেকেই কোনও ভাবে চলে এসেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কুকুর বেড়ালের কাজ। ফাঁক পেয়ে শ্বাপদরা বাইরে নিয়ে চলে এসেছে। এক্ষেত্রে কোথাও সাবধানতার অভাব থেকে গেছে যা ভবিষ্যতে যাতে নাহয় সেদিকে নজর রাখা হবে। এদিকে সংবাদ মাধ্যমে এই ঘটনা দেখার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহরে। রসালো জল্পনায় তোলপাড় শহরের সান্ধ্য আড্ডা।