নিউজ ডেস্ক: শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময় একটুতেই ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি শিকার হন অনেকেই। তার মধ্যে আবার করোনা আবহ। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলাটা খুবই জরুরি। এই সময় বাজারে নানান রকম সব্জি পাওয়া যায়। এরকমই একটি সব্জি হল গাজর। গাজর দেখতে যেমন সুন্দর, তেমন এর অনেক পুষ্টি গুণও রয়েছে। অন্যান্য সবজির তুলনায় গাজরের পুষ্টিগুন অনেক বেশি। নিচে প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরের পুষ্টিগুণ আলোচনা করা হল-
খাদ্যশক্তি ৪১ কিলোক্যালরি
শর্করা ৯.৫৮ গ্রাম
আমিষ ০.৯৩ গ্রাম
ফাইবার ২.৮ গ্রাম
ভিটামিন এ ১৬৭০৬ আইইউ
চর্বি ০.২৪ গ্রাম
বিটা ক্যারোটিন ৮২৮৫ মাইক্রোগ্রাম
পটাশিয়াম ৩২০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ৫.৯ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৩৫ মিলিগ্রাম
লৌহ ০.৩ মিলিগ্রাম
কোলেস্টেরল ০ মিলিগ্রাম
জিংক ০.২৪ মিলিগ্রাম
গাজরে থাকা ভিটামিন ‘এ, চোখের জন্য খুবই ভালো। এছাড়াও গাজরের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে, যেমন-
১. গাজর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত গাজর খেলে ব্রেস্ট, কোলন, ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
২. ত্বক সুন্দর রাখতে চাইলে গাজর খেতে পারেন। এটি ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন ‘এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ট্যান পড়ার হাত থেকে বাঁচায়।
৩. গাজর অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। এটি ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। কোথাও কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে সেখানে কুচি করা গাজর বা গাজর সেদ্ধ করে সেই পেস্ট লাগিয়ে দিন। এতে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমে।
৪. গাজর দাঁত ও মুখ গহ্বর পরিষ্কার রাখে। গাজরে থাকা মিনারেল দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে অনেকাংশেই।
৫. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ৬টির বেশি গাজর খান, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় কম হয়।
পাশাপাশি গাজর খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে, গাজরে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। তাই এত কিছু উপকার পেতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই গাজর রাখতে হবে।