নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্যানসার ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদার মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হলেন ঝাড়গ্রাম জেলার ২বিধায়ক নায়াগ্রাম বিধানসভার দুলাল মুর্মু ও গোপীবল্লভপুর বিধানসভার চূড়ামনি মাহাত। শুক্রবারই ২জনের পজিটিভ এসেছে বলে জানা গেছে। শনিবার প্রশাসনিক উদ্যোগে ২জনকেই কলকাতার বেলেঘাটা আই.ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে ঝাড়গ্রামের শালবনী এলাকার বাসিন্দা ৬২ বছরের চূড়ামনি মাহাতের জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকায় ট্রুন্যাট পরীক্ষা করেন। তাতেই পজিটিভ আসে। অন্যদিকে ৪২ বছরের নয়াগ্রামের খড়িকামাথানির বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক দুলাল মুর্মুর ছেলেরা পড়াশুনার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতেই থাকে। সেই সূত্রে কাঁথিতে যাতায়াত করতেন বিধায়ক। শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় কাঁথিতেই আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করেন তিনি। সেখানে তাঁরও পজিটিভ ধরা পড়ে।
তাঁদের পজিটিভ আসার পর কোনও ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। শনিবার কাঁথি থেকে শ্রী মুর্মু এবং ঝাড়গ্রাম থেকে শ্রী মাহাতকে নিয়ে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আই.ডিতে। বর্তমানে ২জনেই কিছুটা সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য প্রথম কয়েকমাস সবুজ জেলা হিসাবে থাকলে ক্রমশই করোনা সংক্রমনের আওতায় চলে আসে ঝাড়গ্রাম জেলা। যেখানে চারজন বিধায়কের মধ্যে তিনজনই করোনায় আক্রান্ত হলেন এবং একজনের কো-মর্বিডিটির কারনে মৃত্যু হয়।
ঝাড়গ্রাম জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্তের পরিমান ১৭৪২ জন এবং করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৩৯৬ আর এই মুহুর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৩৩৫। আর মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদিন নতুন করে আরও একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।