উৎসব মঞ্চ এমনই ছিল সারাদিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা: তাল কাটল জঙ্গলমহল উৎসবের। সোমবার বেলা ১১ টার সময় গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের জঙ্গলমহল উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ অবধি তা পিছিয়ে শুরু হল বিকাল ৪টায়। যে কারনে একদিনের উৎসবকে মঙ্গলবার অবধি নিয়ে যাওয়া হল বটে কিন্তু দিনভর উত্তেজনা আর পারষ্পরিক রেষারেষির মধ্যে উৎসবের মূল সুরটি হারিয়ে গেল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সমস্যার সুত্রপাত হয়েছিল কয়েকদিন আগেই যখন গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের কৃ্ষি মেলায় যথাযথ মর্যাদা পাননি বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম সাংসদ তথা বিজেপি নেতা কুনার হেমব্রম। স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে তখন থেকেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সোমবার জঙ্গলমহল উৎসবের শুরুর মুখে সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গোপীবল্লভপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি পরিচালিত। তাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের এড়িয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এমনটাই আভিযোগ করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দানগি সরেন। ব্লকের প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে বিজেপির সভাপতি ও সদস্যদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। বিজেপির বেশ কিছু সমর্থক রীতিমত দাপিয়ে বেড়াতে থাকে মেলা প্রাঙ্গনে। উত্তেজনা এতটাই চরমে ওঠে যে পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করতে হয় এলাকায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লক অফিসের সামনে জড়ো হয়ে যান বেশ কিছু বিজেপির কর্মী সমর্থক। উত্তেজনা চরমে উঠতে থাকলে মেলা প্রাঙ্গনে থাকা লোকজন ফিরে যায়। বিজেপির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যথাযথ সম্মান ছাড়া উৎসব হতেই দেবেননা তাঁরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপরই প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সভাপতি এবং বিজেপির নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন গোপীবল্লভপুর ১ এর বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র। সেখানেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ চলতে থাকে। বেশ কয়েকবার মারমুখী হয়ে উঠতেও দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শেষমেশ বেলা চারটার পর সমস্ত নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে। প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের সূচনা করেন দানগি সরেন। সরেন জানান, বিডিওর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকালও মেলা চলবে। ধামসা বাজিয়ে জঙ্গলমহল উৎসব ২০১৯ য়ের সূচনা হল বটে কিন্ত সেই ধামসার আওয়াজ মানু্ষের কাছে পৌঁছাল না। কারন ততক্ষনে উৎসব প্রাঙ্গন ছেড়ে ঘর মুখো মানুষ।