ওয়েব ডেস্ক : দশমীর রাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় বাধা দেওয়ায় রীতিমতো আক্রান্ত হয় পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ার ও ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন এক তৃণমূল চাত্র পরিষদ নেতা। ঘটনার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচলে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বিমান ঝাঁ। ঘটনার পর অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকে পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়াতে মঙ্গলবার চাঁচল থানায় হামলা চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকরা। থানার সামনে চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
ঘটনায় পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে নাকা চেকিং চলাকালীন আচমকা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বিমান ঝাঁ বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে পুলিশের নাকা পেরিয়ে এগোতে গেলে বাধা দেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, এরপর আচমকা ওই তৃণমূলের ছাত্রনেতা ২ সিভিক ভলান্টিয়ার ও ১ অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরকে গালিগালাজ শুরু করে, এমনকিতাদের মারধরও করেন। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে চাঁচল থানার পুলিশ।
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বিমান ঝাঁর গ্রেফতারির খবর শোনা মাত্রই মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঁচল থানার সামনে ছাত্র পরিষদ সমর্থকরা একে একে জমায়েত করতে থাকেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে থানা চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, এদিন বেলা বাড়লে অভিযুক্ত ছাত্র নেতাকে আদালতে পেশ করার জন্য থানা থেকে বের করা হলে আচমকা তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে পুলিশি হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কর্মী সমর্থকেরা। পরিস্থিতি একেবারে পুলিশের হাতের বাইরে চলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এদিকে এদিন চাঁচল আদালতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বিমান ঝাঁ বলেন, ” আমি কোনো দোষ করিনি। দশমীর রাতে আমি আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। সেসময় পুলিশ আমাকে আটকায়। তারপর পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে পুলিশ আমায় গ্রেফতার করে। এমনকি আমাদের কর্মী সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখালে তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।” ছবি প্রতীকী