নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা মুক্ত হয়েও মৃত্যু হল মেদিনীপুরের এক চিকিৎসকের। মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরের (জেলা পরিষদের বিপরীতে) বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নেগেটিভ আসার পরেও কী কারনে তাঁর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে ওই চিকিৎসকের নাম ডাঃ অমল রায়। পঞ্চান্নোর্ধ এই চিকিৎসক সিউড়ি জেলা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ওই চিকিৎসক। সেখানেই করোনা আক্রান্ত হন তিনি। সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার তেমন কোনোও উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যালের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছু দিন চিকিৎসা চলার পর তিনি করোনা মুক্ত হন। হাতে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরিবারের লোকেরা তাঁকে মেদিনীপুরের বাড়িতে নিয়ে আসে।
নিয়ম মেনেই কিছুদিনের জন্য তাঁকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দপ্তর খবর পেয়েই তাঁর দেহ পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কী কারনে উনি মারা গেলেন সেটা খতিয়ে দেখাটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য জরুরি। এটা হতেই পারে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে ফুসফুস এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তিনি ধকল নিতে পারেননি, হার্ট ব্লক করেছে। আবার অন্য কারনও থাকতে পারে।”
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে তাঁর নতুন কোনোও সংক্রমন ঘটেছিল কিনা সেটাও জানা দরকার। ফলে সব রকম পরীক্ষাই করা হবে। আরও একবার করোনা পরীক্ষা করানো হতে পারে । যদি নেগেটিভ হয় তবে পরিবার দেহ পাবে নচেৎ প্রশাসনিক উদ্যোগেই সৎকার হবে। উল্লেখ্য এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫৬ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হল করোনা সাযুজ্যে।