নিজস্ব সংবাদদাতা: এক গৃহবধূ তরুনীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর শ্বশুরবাড়ির চার সদস্যের বিরুদ্ধে খুনের আভিযোগ দায়ের করার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এই আভিযোগ তুলে পুর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর সেতুর ওপর অবরোধে সামিল হল স্থানীয় জনতা। প্রায় ২ঘন্টা ধরে চলা এই অবরোধের ফলে ময়না থেকে তমলুক যাতায়তের রাজ্য সড়ক পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবরোধে সামিল এক যুবক জানালেন , গত নভেম্বর মাসে মৃত্যু হয়েছিল ময়না থানার গড়সপাতপুরের মেয়ে মুসকান বিবির। তমলুক থানার শিমুলিয়া গ্রামের গৃহবধূ মুসকানকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় শ্বশুরবাড়িতে।
বিয়ের মাত্র কয়েক বছরের মাথায় গ্রামের মেয়ের এই পরিনতীতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল পুরো গ্রাম। শুক্রবার অবরোধে সামিল ময়না পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জামাল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই আসল চেহারা প্রকাশ হয়ে পড়ে মুসকানের শ্বশুরবাড়ির। টাকা পয়সার দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার এতটাই প্রবল হয়ে উঠছিল যে এক সময় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হয় তাকে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জামাল বলেন, ” পরে আবার উভয়পক্ষের আলোচনায় মুসকান ফিরে যায়। এরপরই গত ২৩নভেম্বর মুসকানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আমাদের স্থির বিশ্বাস ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই ওকে পিটিয়ে মারার পর ঝুলিয়ে দেয়। ওর স্বামী মেহেবুব সহ চারজনের বিরুদ্ধে খুনের আভিযোগ এনে তমলুক থানায় পরিবার ডায়রি করে কিন্তু আজ অবধি একজনকেও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কয়েক হাজার মানু্ষের ক্রুদ্ধ বিক্ষোভে হলদি নদীর ওপর শ্রীরামপুর সেতু অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ছুটে যায় ময়না থানার আধিকারিক ও জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। জনতার উত্তেজনার আঁচ পেয়ে তাঁদের দেহ মাথা ছিল পর্যাপ্ত সুরক্ষার মোড়কে ঢাকা। দীর্ঘ আলোচনার পর উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা আশ্বস্ত করেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এরপরই প্রত্যাহৃত হয় অবরোধ।