নিজস্ব সংবাদদাতা: পিছু ছাড়ছেনা করোনা বরং পুজোর মুখে যেন জাঁকিয়ে বসতে চাইছে সংক্রমন। জেলার সর্বত্রই প্রায় দাপট দেখাচ্ছে কোভিড-১৯। ১৪ অক্টোবরে আরটি/পিসিআর রিপোর্ট মোতাবেক মেদিনীপুরে শহরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০জন যদিও শহর মানচিত্রে সবার অবস্থান বোঝা সম্ভব হয়নি কারন অনেকেরই ঠিকানায় শুধুই মেদিনীপুর শহর বোঝানো হয়েছে।
যাঁদের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে তাঁদের মধ্যে শহরের এক বিশিষ্ট প্রবীণ প্রথিতযশা চিকিৎসক রয়েছেন। ৮০ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের আবাস গোলকুয়া চক এলাকায়। এছাড়াও জেলাশাসকের বাংলোর এক ৩৯ বছর বয়সী পুরুষ কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁদের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে তাঁরা হলেন কুইকোটা এলাকার ৪৫ বছরের গৃহবধূ, কেরানিতলার ৬০ বছরের বৃদ্ধা, বিবিগঞ্জ এলাকার ৩০বছর বয়সী যুবক।
এছাড়া সিপাহী বাজারে চার্চের কাছে ২৫বছরের এক তরুণী ও লালদীঘি এলাকায় ৮৪ বছরের এক বৃদ্ধ আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ লাইনে ৩৪ বছরের এক করোনা যোদ্ধা আক্রান্ত হয়েছেন। শালবনী করোনা হাসপাতালে ৬২বছর বয়সী বৃদ্ধদের পুনরায় পরীক্ষাতে করোনার অস্থিত্ব মিলেছে। শহরে নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি এমন ৪৬, ৫০ এবং ৭০বছর বয়সী পুরুষ, ৬১ এবং ৬২ বছরের বৃদ্ধা, ১২ বছরের কিশোর, ২১ এবং ২৩ বছরের যুবক রয়েছেন।
ওদিকে গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরাতে যে দাপট করোনা দেখিয়ে আসছিল তা যথারীতি বহাল রয়েছে। ১৪তারিখের বৈশিষ্ট হল কাঁসাই নদী পেরিয়ে করোনা এদিন দাপট দেখিয়েছে ১ নম্বর ভবানীপুর ও ২নম্বর ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভবানীপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। এরমধ্যে গোবিন্দপুর গ্রামের একই পরিবারে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন। ৫০ ও ৪৫ বছরের দম্পত্তি ও তাঁদের ১৫ এবং ১০বছর বয়সী দুই কন্যা আক্রান্ত। এছাড়া আসরবপুরে ১৮বছরের তরুণ ও হনুমানডিহি এবং অকালপৌষে দুজন ৪৫বছরের ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। ভবানীপুর গ্রামপঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে এই নিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২১জন আক্রান্ত হলেন।
এদিনের রিপোর্ট মোতাবেক ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও আক্রান্ত হয়েছেন সাতজন। এঁদের মধ্যে রাধাবল্লভপুরে আক্রান্ত ৫২ ও ২৫ বছরের মা ও মেয়ে। কমলপুরে আক্রান্ত ৫৩ বছরের পুরুষ ব্যক্তি, ৪৭ বছরের গৃহবধূ, ৯ বছরের বালিকা। ভরতপুরের চাঁফদিপুর ও অযোধ্যাপুরে ৩৯ বছরের গৃহবধূ ও ২৫ বছরের যুবতী আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেবরা ৫/২ অঞ্চলে আলিশাগড় ও বরাগড়ে ৪৮ বছরের পুরুষ ও ৩৫ বছরের গৃহবধূ আক্রান্ত হয়েছেন। খানামোহনের রুস্তমপুরে আক্রান্ত ৫৩ বছরের মহিলা। বড়কাঁসা রঙ্গপালে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের করোনা ধরা পড়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। ডেবরার মহকুমা পুলিশ শাসকের দপ্তরের ৩৫বছর বয়সী এক কর্মীও পজেটিভ হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে একটি দুটি করে করোনা উঁকি দিচ্ছে সবংয়ে। ১৪ই অক্টোবরের আরটি/পিসিআর রিপোর্টে ৫ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। মোহাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের শিউলিপুরে ৫৮ বছর বয়সী প্রৌঢ় আক্রান্ত হয়েছেন। ৩৮ বছরের যুবক আক্রান্ত হয়েছেন বুড়ালের কেরুর গ্রামে। দেভোগ অঞ্চলের লুটুনিয়াতে আক্রান্ত ৩৫বছরের গৃহবধূ। আয়ুশে নমুনা দিয়ে পজিটিভ হয়েছেন ২২বছরের এক সবং যুবতী যাঁর নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ হয়নি। এছাড়া সবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক ৩২বছরের যুবক কর্মী আক্রান্ত।