নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিনের বৃষ্টিতেই বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হল ৫৯ বছরের বৃদ্ধার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ওই বৃদ্ধার কিশোরী নাতনি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ী থানার কালামেটিয়া গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কালামেটিয়া গ্রাম কেশিয়াড়ী পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন। কেশিয়াড়ী থানা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল কেশিয়াড়ী থানার প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। কালামেটিয়াতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন বিকাল থেকেই বেশ কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েই চলেছিল। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ প্রবল বৃষ্টি হয়। সম্ভবতঃ এই বৃষ্টির ফলেই মাঝ রাতের দিকেই ধসে পড়ে কালামাটিয়া গ্রামের অনু সর্দারের বাড়ি। আর তারফলেই এই বিপত্তি ঘটে যায়।
গ্রামের লোকেরা জানিয়েছেন, অনু সর্দারের একই উঠোনের মধ্যে দুটি আলাদা বাড়ি রয়েছে যার একটি অনু এবং তাঁর স্ত্রী শুতো অন্যটিতে অনুর মেয়েকে নিয়ে ঘুমাতেন অনুর শাশুড়ি জ্যোৎস্না সর্দার। জ্যোৎস্নার বাড়ি দক্ষিন ২৪পরগনার গোসাবা থানা এলাকায়। সে মেয়ের কাছে থাকত। জোৎস্নার স্বামী থাকতেন গোসাবাতেই। গ্রামের লোকেদের অনুমান বাড়িটি ভেঙে পড়েছিল মধ্যরাতের পরে ভোরের কিছু আগে কারন অনেকেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন কিন্ত তখন তারা কিছু দেখতে পাননি। এমনকি অনু বা তাঁর স্ত্রী কোনও আওয়াজ পায়নি।
প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া ঠান্ডা ছিল। গাঢ় ঘুম হয়েছিল সবার। সকালে উঠেই অনু লক্ষ্য করে বাড়িটি ধসে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের লোকেদের সহায়তায় ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয় দুজনকে।কেশিয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোৎস্নাকে মৃত বলে ঘোষনা করে চিকিৎসকরা। কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় নায়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার। রবিবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে জোৎস্নার।