ওয়েব ডেস্ক : মাঝ আকাশে আচমকা ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম ফ্রান্সে। জানা গিয়েছে, শনিবার আকাশে ওড়ার পর আচমকা মাইক্রোলাইট এয়ারক্র্যাফ্টের সঙ্গে ডিএ ৪০ নামে একটি বিমানের ধাক্কায় মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বিমান দুটিতে বেধি সংখ্যক যাত্রী ছিল না। তবে এই ঘটনায় দু’টি বিমানে সবমিলিয়ে মোট ৫ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় তারা প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন। অনুমান, যদি দুর্ঘটনার সময় বিমান দুটিতে বেশি সংখ্যক যাত্রী থাকতো তবে সেক্ষেত্রে বড়সড় বিমান দুর্ঘটনার স্বীকার হত পশ্চিম ফ্রান্স।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছ, যেহেতু মাইক্রোলাইট এয়ারক্র্যাফ্ট ছোটো বিমান ফলে সেটিতে বেশি সংখ্যক যাত্রী নেওয়া সম্ভব নয়। মাত্র ২-জন যাত্রী ছিলেন। অপরদিকে ডিএ ৪০ নামে যে বিমানটির সাথে ধাক্কা লাগে সেটিতে যাত্রী ছিলেন মাত্র ৩ জন। এবে এই বিমানটি মাইক্রোলাইট এয়ারক্র্যাফ্ট এর মতো ছোটো বিমান নয়। যেহেতু এটি একটি পর্যটক বিমান, সেহেতু এই বিমানটিতে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রী সংখ্যা বেশী থাকার সম্ভাবনাই প্রবল ছিল। এবিষয়ে নাদিয়া সেঘিয়ার নামে ফ্রান্সের এক সরকারি আধিকারিক জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ লচেসে বিমান দুটি আচমকা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে দু’টি বিমানেই সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। আগুন এতটাই তীব্র ছিল যে কোনোভাবেই তা নেভানো সম্ভব হচ্ছিল না। তবে দমকলের ৫০ জন কর্মীর তত্পরতায় দুটি বিমানের আগুনই শেষ পর্যন্ত নেভানো সম্ভব হয়। তবে আগুন নেভানো গেলেও বিমান দুটির জোর সংঘর্ষ ও তীব্র আগুনে ভিতরে থাকা ৫ জন বিমানযাত্রীই মারা যান। তবে আকাশে উড়ে আচমকা দু’টি বিমান কী ভাবে মাঝআকাশে মুখোমুখি চলে এল, স্বাভাবিকভাবেই তা এখনও জানা যায়নি।
এর আগেও ফ্রান্সে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল। সে সময় জার্মান এয়ারলাইনসের এয়ারবাস A-320 বিমানটি ১৪২ জন যাত্রী নিয়ে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ড্যুসেলডর্ফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। যাত্রী ও ২ জন পাইলট-সহ ৬-জন বিমানকর্মী নিয়ে মোট ১৪৮ জন ছিলেন। বিমানটি উড়তে উড়তে আচমকা দক্ষিণপূর্ব ফ্রান্সের বার্সেলোনেট্টে এলাকায় একটি স্কি রিসর্টের কাছাকাছি ভেঙে পড়ে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলান্দে সেই সময় ঘোষণা করেন দুর্ঘটনায় কারও বাঁচার আশা নেই। A320 বিমানটির প্রথমে খোঁজ পাওয়া না গেলেও পরে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রজের তরফে জানানো হয়েছিল, একটি গ্রামে বিমানের ভগ্নাবশেষের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ১৪৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৫ সালে এটাই ছিল ফ্রান্সের প্রথম বিমান দুর্ঘটনা।