নিজস্ব সংবাদদাতা: তাঁর পরিবারিক অর্থের অভাব নেই অথচ তিনিও দেহ ব্যবসায় ! লক্ষ্য মোটা হাত খরচা উপার্জন। দামী স্মার্টফোন, মোটা অঙ্কের শপিং, বিলাসবহুল প্রসাধনের খরচ মেটাতেই দেহ ব্যবসা। দুর্গাপুরের এক পার্লারে হানা দিয়ে এমনই তথ্য জানতে পারল পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দুর্গাপুরের অন্যতম ব্যস্ত ও জমজমাট এলাকা সিটি সেন্টারের একটি পার্লারে শনিবার সন্ধেবেলা অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (কাঁকসা) এবং গোয়েন্দা বিভাগের এসিপি। পার্লারের দরজা বন্ধ করে কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। তারপর ১১ জন মহিলা ও এক পুরুষকে সেখান থেকে আটক করা হয়। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে অম্বুজায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দীর্ঘদিন ধরে সিটি সেন্টারের এই বিউটি পার্লারে দেহ ব্যবসার অভিযোগ আসছিল পুলিশের কাছে। শুধু স্থানীয়রাই নন, ভিন জেলা ও ভিন রাজ্য থেকেও এখানে মহিলাদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা করানো হত বলে অভিযোগ। আরও গুরুতর অভিযোগ, নাবালিকাদেরও জোর করে এই বিউটি পার্লারে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হত। সন্ধে হতেই বিউটি পার্লারের সামনে লেগে যেত দামি গাড়ির লম্বা লাইন। অপরাধ জগতের মানুষজনেরও আনাগোনা লেগে থাকতো এই পার্লারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযোগের এই লম্বা তালিকা হাতে পেয়ে অবশেষে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের সাহায্যে শনিবার হানা দেয় আসানসোল-দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশি অভিযানের খবর চাউর হতেই স্থানীয়রাও ভিড় জমাতে থাকেন পার্লারের সামনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মহিলাদের এই পার্লার থেকে আটক করা হয়েছে, তারা সবাই দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আটক হওয়া পুরুষ পার্লারেরই কর্মী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি – ১ (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “দেহ ব্যবসার অভিযোগে বিউটি পার্লারে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ভিন রাজ্য ও জেলা থেকে মহিলাদের এনে দেহ ব্যবসা করানো হতো বলে অভিযোগ পেয়েছি। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। এই চক্রে আরও যারা জড়িত, তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।”