ওয়েব ডেস্ক : গোটা বিল্ডিং স্যানিটাইজ করার জন্য ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারল ছুটি ঘোষণা করেছে নবান্ন। এদিকে এদিনই শাসক দলের বিরুদ্ধে একদফা অভিযোগ নিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিচ্ছে বিজেপি। বুধবারই বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, বৃহস্পতিবার প্রায় ২ লক্ষ কর্মী এই অভিযানে রাস্তায় নামবে। তবে বৃহস্পতিবার নবান্ন ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা করা হলেও এদিন নবান্নের দরজা বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ভেতরে কোনও কর্মীই থাকছে না। ফলে, এই পরিস্থিতিতে এদিন গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযান আদেও সফল হবে কিনা, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকছে।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হবে। এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দফতর থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরে মিছিল মহত্মা গাঁধী রোডের দিকে এগোবে। এরপর সব মিছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে পৌঁছালে এরপর একটি বড়ো মিছিল নবান্ন ঘেরাও করবে৷ জানা গিয়েছে, সদর দফতর থেকে যে মিছিলটি বেরোবে তার নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দীলিপ ঘোষ। এছাড়াও এদিন বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল বেরোবে নবান্নের উদ্দেশ্যে। অন্যান্য দিক থেকে মিছিল নিয়ে আসবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং মুকুল রায় সহ বেশ কিছু নেতা। শুধু তাই নয় এদিন বিজেপির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে আসছেন সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য। তবে গেরুয়া বাহিনীর তরফে এদিন মিছিল নিয়ে বেরোলেও মিছিল আটকাতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হাওড়া ও কলকাতা পুলিশ। মিছিল আটকানোর জন্য জলকামান কাদানে গ্যাসও থাকছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী নিয়ে গেরিলা কায়দায় নবান্ন অভিযান ডাকা হলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী করোনা আবহে এত লোক নিয়ে কোনোভাবেই সমাবেশ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী, সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সমাবেশ হলেও তা কোনোভাবেই একশো জনের বেশি লোক নিয়ে করা যাবে না। এ তো গেল কেন্দ্র রাজ্যর কথা। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, এই মূহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে মিছিল সমাবেশ চলবে না। রাজ্য সরকারের তরফে বুধবারই এই চিঠি বিজেপির যুব মোর্চাকে পাঠানো হয়। তবে বিজেপির তরফে এদিনের অভিযান করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।