ওয়েব ডেস্ক : আনলক পর্যায়ের প্রথম থেকেই গোটা দেশে ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে একাধিক পরিষেবা। ইতিমধ্যেই বিধিনিষেধ মেনে খুলে গিয়েছে দোকানপাট, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট। লকডাউনের জেরে দীর্ঘ ৭ মাস তালাবন্ধ থাকার পর অবশেষে আনলক ৫-এ সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে একাধিক বিধিনিষেধ, সামাজিক দূরত্ব। তবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের তরফে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও কি কি নিয়মবিধি মানতে হবে তা এতদিন জানানো হয়নি। মঙ্গলবার সেই সব বাধ্যতামূলক নির্দেশিকার তালিকা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার-মন্ত্রক।
এদিন তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, নতুনভাবে সিনেমা হল খোলার পর যে সকল নিয়মবিধি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম, প্রত্যেকটি সিনেমা হল কিংবা মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের জন্য প্রত্যেক শো শুরুর আগে করোনা সর্তকতামূলক একটি এক মিনিটের ছবি দেখাতে হবে।
পাশাপাশি, ১৫ অক্টোবর দেশের সিনেমা হকগুলির তালা খুলতে গেলে আরও একাধিক নিয়ম মানতে হবে। কি সেই নিয়ম?
i) এদিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগের মতো আর ১০০% আসন ভর্তি করা যাবে না। দর্শকদের আসন সংখ্যার ৫০ % পূরণ করা যাবে।
ii) সিনেমার প্রতিটি শোয়ের মাঝে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে৷
iii) বসার সময়ও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। দর্শকরা যাতে একটা সিট ছেড়ে বসতে পারে সেজন্য সিটের মধ্যে লিখে দর্শকদের আগে থেকেই সতর্ক করতে হবে।
iv) সিনেমা হলে প্রবেশের আগে প্রত্যেক দর্শককের থ্যার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। শরীরের তাপমাত্রা ৯৯° কিংবা তার উপরে দর্শককে প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না৷
v) প্রত্যেককে মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং সেগুলি সাথে রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
v) প্রত্যেক দর্শকের ফোনে অরোগ্য সেতু অ্যাপ রাখতে হবে।
vi) যতটা সম্ভব ক্যাশ টাকার পরিবর্তে ডিজিট্যাল মাধ্যমে টিকিটের টাকা চোকানোর ব্যাপারে দর্শকদের উৎসাহিত করতে হবে।
vii) ইন্টারভাল বা বিরতির সময় দর্শকদের যতটা সম্ভব কম নড়চাড়ার জন্য অনুরোধ জানাতে হবে।
viii) সিনেমা হলের ভিতরে শুধুমাত্র প্যকেড জাতীয় খাবার নিয়ে ঢোকা যাবে। খাবারের জন্য একাধিক কাউন্টারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ix) সিনেমা হলে কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষাকবচ যেমন- মাক্স, গ্লাভস, শেল্ড গিয়ার, পিপিই কিট দিতে হবে।
x) সিনেমা হলে একাধিক টিকিট কাউন্টার থাকতে হবে। একই সাথে ভিড় এড়াতে সেগুলো গোটা দিন খুলে রাখতে হবে পাশাপাশি আগাম টিকিট বুকিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
xi) প্রত্যেক দর্শকের ফোন নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজনে সহজেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
xii) নির্দিষ্ট সময় মেনে সিনেমা হল, বক্স অফিস কাউন্টার স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক।
xiii) সিনেমা হলের তাপমাত্রা ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশী রাখা যাবে না।