ওয়েব ডেস্ক : নির্বাচনের আগে অনুব্রত মন্ডলের গড়ে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করলো বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। রবিবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে জাতীয় সড়কের ওপর টহলদারি দিচ্ছিল মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। সেসময় একটি মারুতি ভ্যান দেখে সন্দেহ হওয়ায় গাড়ি আটকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তল্লাশি চালাতেই হতবাক হয়ে যায় পুলিশকর্মীরা। দেখা যায় ছোট মারুতি ভ্যানের মধ্যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করে না পাচার করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই ওই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধার করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। গাড়ির চালককেও আটক করা হয়েছে৷ এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই গোটা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনায় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে মহম্মদবাজারের জাতীয় সড়কে টহল দেওয়ার সময় জয়পুর এলাকা থেকে ওই বিস্ফোরক বোঝাই মারুতি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গাড়িটি তল্লাশি করে সেখান থেকে প্রায় ৩৯ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। এত ডিটোনেটর দেখে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের বশে পুলিশ গাড়ির চালককে গাড়ির নথি দেখাতে বলে কিন্তু সে ঠিকঠাক দেখাতে না পারায় চালকে আটক করে পুলিশ। এত পরিমাণ ডিটোনেটর কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ধৃতকে জিজ্ঞাসা করতে পুলিশি জেরার মুখে চালক জানায় গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে তিনি রানিগঞ্জ থেকে রামপুরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন।
বিস্ফোরক প্রসঙ্গে গাড়ির চালকের দাবি, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পাথর খাদানে ব্যবহারের জন্যই ওই বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছে। কিন্তু এত পরিমাণ বিস্ফোরক কি আদেও পাথর খাদানে মজুতের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এবিষয়ে জানতে ইতিমধ্যেই চালকের বয়ান অনুযায়ী ওই ডিটোনেটরের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে পুলিশ। কিন্তু নির্বাচনের আগে এত পরিমাণ বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করায় এর পেছনে বড় কোনও নাশকতার ছক থাকতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ।