নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা সংক্রমন পিছু ছাড়ছেনা IIT-Kharagpur ক্যাম্পাসে। প্রায় প্রতিদিনই দু চারজন করে নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলছিলই এবার তার ওপর দেখা মিলল পারিবারিক সংক্রমন যা IIT ক্যাম্পাসের মত না পাওয়াই বাঞ্চনীয় ছিল বলে অনেকেরই অভিমত। কারন পারিবারিক সংক্রমনের প্রধান কারন সংক্রমন শৃঙ্খলকে অবহেলা করা। বলা হচ্ছে মাস্কের ব্যবহার এবং বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হাত ধুতে হবে এবং জামা কাপড় অন্যত্র খুলে রেখে পরে ধুয়ে নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু এই টুকু করলেই পারিবারিক ও গোষ্ঠী সংক্রমন এড়ানো সম্ভব হবে। করোনা সংক্রমন কালে IIT-Kharagpur কর্তৃপক্ষর পক্ষেও আবাসিকদের এই কথা শুধু বলাই হয়নি রীতিমত গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়েছিল কিন্ত বাস্তবে তা আবাসিকরা মানছেন কী? উঠেছে সেই প্রশ্ন। এর আগেও ক্যাম্পাসে দু-চারটি পরিবার সংক্রমন ঘটেছিল কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা যাচ্ছে ওই দিনের প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বি.সি.রায় টেকনোলজি হাসপাতালে নমুনা থেকে প্রাপ্ত ৯ জন আক্রান্তের ৭জনই ৩টি পরিবার থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। এই সাত জনের ৫জনই ক্যাম্পাসের আর ২জন ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত একটি সোসাইটি এলাকার বাসিন্দা।
১ অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্ত ৯জনের ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি পরিবারের ৫০বছরের ব্যক্তি তাঁর ৪০বছরের স্ত্রী এবং ১১বছরের কন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য একটি পরিবারের ৫৪ বছর বয়সী ব্যক্তি ও তাঁর ১৯বছরের ছেলে আক্রান্ত হয়েছেন। আইআইটি ক্যাম্পাসের বাইরে ছোট ট্যাংরা এলাকার একটি আবাসন কমপ্লেক্সে আইআইটির এক প্রাক্তন অধ্যাপক (৭০) এবং তাঁর স্ত্রী(৫৪) আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৭ জন ছাড়াও ক্যাম্পাসের মধ্যেই ৪৫বছরের এক পুরুষ ও ৪৯ বছর বয়সী মহিলার আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খড়গপুর পৌরসভা ও রেল এলাকা সহ সংলগ্ন গ্রামীন এলাকায় প্রায় ৪০জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এরমধ্যে রেল এলাকাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১০জন। রেল আবাসনের বাইরেও বড় আয়মা, মালঞ্চ, ভবানীপুর সুকান্তপল্লী ও সাঁজোয়াল এলাকার বাসিন্দা এরা।
খড়গপুর শহরের রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি বিলিতি মদের দোকান এবং টাটার গাড়ি বিক্রি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাঁর পরিবারের আরও ২সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। ইন্দা এলাকায় আক্রান্ত হয়েছে বাবা এবং ছেলে। খড়গপুর পুলিশের এক ৩০বছরের কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাবে মাসের প্রথম দিনেই মালঞ্চ, রাখাজঙ্গল, ওল্ড মালঞ্চ, ভবানীপুর, নিমপুরা, খরিদা বিধানপল্লী, ভগবানপুর ইত্যাদি জায়গায় এক বা একাধিক আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
শহরের বাইরে শহরতলি এলাকায় সালুয়া EFR তৃতীয় ব্যাটেলিয়ানের ৩০,৩৬ ও ৫৬ বছরের তিন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামীন থানার বাড়অচু গ্রামে এবং বেনাপুর সংলগ্ন হরিপুরে এক আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।