নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে মন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারীর এক হাজার অনুগামীর উপস্থিতি রীতিমত নজর কেড়ে নিয়েছে স্থানীয় অধিবাসীদের। বীরসিংহ গ্রাম বাংলা পঞ্জিকা মতে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন করে যা কিনা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের দিনটির চাইতে তিনদিন পরে পড়েছে। শুভেন্দু অনুগামীরাও সেই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিলেন মহামতির ২০১তম জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে ১০/১২ বা ১০০/২০০ জন নয়, বীরসিংহে এদিন হাজির হয়েছিলেন ১ হাজার জন শুভেন্দু অনুগামী। হাজির হয়েছিলেন রীতিমত শৃঙ্খলাবদ্ধ পোশাকে বা ইউনিফর্মে। যা রীতিমত নজর কেড়েছে স্থানীয় অধিবাসীদের।
বিদ্যাসাগরের ছবি সম্বলিত সাদা টিশার্ট ও সাদা টুপি পরিহিত এই বাহিনীর বুকে ঝোলানো ছিল জয়তু বিদ্যাসাগর লেখা ও মধ্যিখানে তাঁরই ছবির নিচে লেখা আমরা দাদার অনুগামী। উপস্থিত ছিলেন
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তপন দত্ত,জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমা প্রসাদ গিরি,তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হীরালাল ঘোষ,অজিত দে ,সবং থেকে শেখর মাইতি , পার্থপ্রতীম মাইতি , সনাতন দিত্য, খড়গপুরের মুনমুন বণিক প্রমুখ। জেলা তৃণমূলের এক গুচ্ছ নেতার ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে আলাদা করে বিদ্যাসাগরের জন্মদিনটি উদযাপন নাকি বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে মন্ত্রীর অনুগামীদের এটি একটি সংগঠিত বার্তা তা রীতিমত ভাবনায় ফেলে দিয়েছে মূল সংগঠনকে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু ছাড়াই বাংলা জয়ের যে স্বপ্ন অভিষেক ব্যানার্জী ও তাঁর অনুগামীরা চাইছেন তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেই এই জমায়েত কিনা তা ভাবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে ফুলের মালা দিয়ে বিদ্যাসাগরকে সম্মান জানায়। ওই অনুষ্ঠানে পাঁচ জন শিক্ষককে শুভেন্দু অনুগামীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
শুভেন্দু অধিকারী করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।মঙ্গলবার বীরসিংহ গ্রামে তার আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় তার অনুগামীরা বিদ্যাসাগরের জন্ম ভিটে বীরসিংহ গ্রামে এসে বিদ্যাসাগরকে সম্মান জানিয়ে তার জন্মদিন পালন করেন। শুভেন্দু অধিকারী সুস্থ হওয়ার পর বীরসিংহ গ্রামে এসে বিদ্যাসাগরকে সম্মান জানাবেন বলে রমা প্রসাদ গিরি জানালেন।
গত ২৬তারিখ সরকারি ভাবে বীরসিংহ গ্রামে ২০১তম জন্মদিন পালন করা হয়। তারপর শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের এই বিশাল জমায়েত চাপে রাখল মূল দলকে। নিভৃতবাসে থেকেও মন্ত্রী কতটা সক্রিয় তাই প্রমান করে দিলেন তিনি। বিনাযুদ্ধে তিনি যে মাটি ছাড়বেননা তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।