নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ২৪ ঘন্টায় (২৭/৯)আরও এক মৃত্যু গুনলো করোনা। শহরে ২৫ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়ে গেছে এতদিনে। তারই মধ্যে আরও এক ৮১ বছর বয়সী বৃদ্ধার মৃত্যু হল কোভিড হাসপাতালে। অবসর প্রাপ্ত ওই বৃদ্ধা রেলের কর্মী ছিলেন। তাঁর ছেলেও রেলে চাকরি করেন সেই সুবাদে থাকতেন নিউ সেটেলমেন্ট নয়াখুলি এলাকার রেল আবাসনে। বৃদ্ধার ৪২ বছর বয়সী ছেলে জানিয়েছেন, বার্ধক্য জনিত সমস্যার পাশাপাশি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মা। গত রবিবার তাঁর করোনা ধরা পড়ে। তারপরেও রেলে ছিলেন। তিনদিন আগে শালবনীতে স্থানান্তরিত করা হয় মাকে। ভালই ছিলেন। শনিবারও কথা হয়েছিল ফোনে। কিন্তু রবিবার দুপুরে হঠাৎই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
রবিবার আরটি/পিসিআর এবং আ্যন্টিজেন ও ট্রুনেট পরীক্ষায় খড়গপুরে ৩০জনের করোনা পজিটিভ এসেছে যার মধ্যে শহরেরই ২৩ জন রয়েছে। বাকিরা শহর ঘেঁষা এলাকায়। এদিন ফের রাজ্য পুলিশের আরেক জওয়ান আক্রান্ত হয়েছেন খড়গপুর ইমার্জেন্সি পুলিশ লাইনে। ৪৩ বছর বয়সী ওই জওয়ানকে ধরে এই ব্যারাকে মোট ১০ জন আক্রান্ত হলেন। এদিন তালবাগিচা এলাকা থেকেই মোট ৩ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে এরমধ্যে একজন আইআইটির অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর স্ত্রী রয়েছেন। ৬১ বছরের এই মহিলার স্বামী ৪৮ ঘন্টা আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। সম্ভবতঃ তাঁরই সংস্পর্ষে স্ত্রীও সংক্রমিত হয়েছেন। তালবাগিচার অপর ২জন ৪০বছরের মহিলা ও ১৭ বছরের কিশোর।
তালবাগিচার চেয়ে একজন বেশি অর্থাৎ ৪ জনের সন্ধান মিলেছে মালঞ্চ এলাকা থেকে এদিন ৩ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে মালঞ্চ এলাকায় । এই এলাকায় আক্রান্তরা ৪৯ বছরের মহিলা,২৯ বছরের যুবক। মালঞ্চ নিমপুরায় ৪২ বছরের ব্যক্তি ও ভগবানপুর, মালঞ্চ রোডে এলাকায় ৭৬বছরের বৃদ্ধ আক্রান্ত হয়েছেন। খড়গপুর চাঁদমারি অর্থাৎ মহকুমা হাসপাতালের কাছে একই পরিবারের ৫২ বছরের মা ও ২৬ এবং ২৩ বছরের মেয়ে এবং ছেলে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের টুরিপাড়াতে আক্রান্ত ৩৫ ও ৪২ বছরের যুবক ও ব্যক্তি।
সংক্রমনের খবর মিলেছে আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসের মধ্যেও, আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫বছর বয়সী আইআইটি কর্মী। দেবলপুর, ইন্দা বিদ্যসারপুর, কৌশল্যা এলাকায় আক্রান্ত ৫৮, ৩৩ এবং ৪৬ বছর বয়সী তিন ব্যক্তি । রেলের ধ্যানসিং ময়দান ও সংলগ্ন নিউ সেটেলমেন্ট রেল আবাসনে খোঁজ মিলেছে আক্রান্ত ৪২ ও ৪৪ বছরের ২ রেলকর্মী।
এদিন নতুন আক্রান্তের তালিকায় পুরাতন বাজারের ১৩ বছরের কন্যা ও রয়েছেন। রাখাজঙ্গল ও সাউথ ইন্দায় ২৩ ও ৩৬ বছরের যুবক রয়েছেন। ৪৬ বছরের এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন মিরুপুর এলাকায়। অন্যদিকে শহরতলিতে দুটি পরিবারের ৬জন আক্রান্ত হয়েছেন। পপরআড়াতে ৪৫ ও ৩৬ বছরের দম্পত্তির সাথে আক্রান্ত ১২ বছরের কিশোর সন্তানও। পাঁচরুলিয়ায় আক্রান্ত একই পরিবারের ৪৯ বছরের ব্যক্তি, ২৫ বছরের যুবতী ও ৭বছরের বালিকা।
মেদিনীপুর শহরের মানিকপুরে এদিন ৩ আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ বছরের দুই এবং ৩৬বছরের ১যুবক। শরৎপল্লী এলাকায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ ও ৩৪ বছরের যুবকের শরীরে সংক্রমন মিলেছে। কর্নেলগোলা এলাকায় ৫৮ বছরের প্রৌঢ় ও ৪২ বছরের মহিলা আক্রান্ত। সিপাহীবাজারে ২৮ ও ৩৫ বছরের ২ যুবক সংক্রমিত। নজরগঞ্জে ৫৯ বছরের বৃদ্ধা ও ৪২ বছরের গৃহবধূ আক্রান্ত হয়েছেন। হাঁসপুকুরে ৫৫ বছরের ও জগন্নাথমন্দির এলাকায় ৫৮ বছরের ব্যক্তি আক্রান্ত।
ডাকবাংলো ও গোলাপীচকে ২৭ ও ৩৪ বছরের ২ যুবকের দেহে সংক্রমন মিলেছে। হবিবপুর ও মির্জাবাজারে ৪৫ বছরের গৃহবধূ এবং ৫১ বছর বয়সী ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। ধর্মা এলাকায় সন্ধান মিলেছে ২৬ বছরের করোনা আক্রান্ত যুবকের। শহরের বাইরে জামকুন্ডায় ৫৬ ও ২৭ বছরের প্রৌঢ় ও যুবক আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মেদিনীপুর শহরে ১৮ ও শহরতলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন। ২৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট ১৫২জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।