ওয়েব ডেস্ক : সুশান্ত মৃত্যুতে মাদকযোগের হদিশ মেলায় রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের পর, একে একে নাম জড়িয়েছে বলিউডের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেত্রী। মাদককাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শনিবারই দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুরকে টানা কয়েকঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে NCB। জানা গিয়েছে, NCB-র জেরায় মাদক নেওয়ার কথা একেবারেই অস্বীকার করেছেন সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুর। একই সাথে এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে সারা ও শ্রদ্ধা দাবি করেছেন, তারা মাদক না নিলেও সুশান্ত যে নিয়মিত মাদক নিতেন তা তারা বেশ কয়েকবার দেখেছেন। যদিও এদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধা প্রত্যেকের ফোন ফরেন্সিক টেস্টের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে NCB। তবে শুধুমাত্র এই তিন তারকাই নয় একই সাথে সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা, ফ্যাশন ডিজাইনার সিমন খাম্বাটার ফোনও জিজ্ঞাসাবাদের পর বাজেয়াপ্ত করেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
জানা গিয়েছে, NCB-র তরফে ফোনগুলি ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পাঠানো হবে৷ সেক্ষেত্রে যদি ফোন থেকে মাদক সংক্রান্ত কোনও মেসেজ কিংবা অন্যান্য তথ্য ডিলিট করা হয়, স্বাভাবিকভাবেই সেগুলি উদ্ধার করা হবে। তবে শনিবার জেরায় সারা আলি খানকে একাধিক বিষয়ে লাগাতার কয়েকঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র তরফে সারা ২০১৭-১৮ সালে যে মোবাইলটি ব্যবহার করতেন সেটিও চাওয়া হয়। এদিকে এক জাতীয়স্তরের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, NCB-র তরফে সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে, লাগাতার জেরার মুখে জয়া স্বীকার করেছেন, জয়া শ্রদ্ধা কাপুর, রিয়া চক্রবর্তী, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত ও প্রযোজক মধু মন্টেনা এবং নিজের জন্য মোট ৫টি CBD অয়েল অনলাইনের মাধ্যমে কিনেছিলেন। এমনকি তিনি আরও জানান, সেগুলির পেমেন্টও তিনি অনলাইনেই করেছিলেন।
এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন নেটিজেনরা। তাদের দাবি, CBD অয়েল ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে তা লাগামছাড়াভাবে অনলাইনে লাগাতার বিক্রি হচ্ছে? যদিও এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউই মুখ খোলেননি। সূত্রের খবর, মাদক মামলার যাবতীয় তথ্য সোমবার দিল্লিতে NCB-র ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ আস্থানার কাছে জমা দেবে মুম্বইয়ের তদন্তকারী NCB আধিকারিকরা। এদিকে সারা, শ্রদ্ধার পাশাপাশি শনিবার দীপিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন NCB৷ জানা গিয়েছে প্রায় ৬ ঘন্টা লাগাতার জেরার মুখে কেঁদে ফেলেন দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও তাতে একেবারেই চিড়ে ভেজেনি। এদিন দীপিকা ও তার ম্যানেজার কারিশ্মাকে একসাথে জেরা করা হলে জেরায় দুজনের বয়ানে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন NCB। ফলে দীপিকাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।