Homeএখন খবরএবার প্রযুক্তি' গলদ' শুধরে নিতে শালবনীর দায়িত্বে ৫ সদস্যের কমিটি, ফিরতে চলেছে...

এবার প্রযুক্তি’ গলদ’ শুধরে নিতে শালবনীর দায়িত্বে ৫ সদস্যের কমিটি, ফিরতে চলেছে WBMSCL. আজ থেকে বাঙুর বিশেষজ্ঞরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: শালবনী করোনা হাসপাতালে ‘গলদ’ ছিল এমনটা মনে করেননা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তারা তবে আরও উন্নত পরিষেবা দিতে তুমুল সমালোচনার মুখে বদলে দিতে হয়েছিল সুপারকে। শালবনীতে চিকিৎসা পরিষেবার কোনও ত্রুটি ছিলনা তবুও চিকিৎসক আর নার্সদের হাতে কলমে কোভিড পরিষেবা বুঝিয়ে দিতে কলকাতার বাঙুর হাসপাতাল থেকে আনা হচ্ছে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের। শালবনী করোনা হাসপাতালে প্রযুক্তিগত ত্রুটিও ছিলনা তবুও ভুল ত্রুটি মেরামত করে নিতে তৈরি করা হয়েছে ৫ সদস্যের স্পেশাল কমিটি যাঁর মাথায় রয়েছে মেদিনীপুর খড়গপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটি বা MKDA এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলা শাসক।
২৪ সেপ্টেম্বর এক অতিরিক্ত জেলা শাসক কে মাথায় রেখে ৫ সদস্যের বিশেষ দল গড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন যার সদস্য হিসেবে রয়েছেন MKDA আ্যসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল), MKDA সাব আ্যসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (বিদ্যুৎ) এবং আ্যসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ও MKDA র একজন কর্মচারী(গ্রুপ-ডি)কে। বলা হয়েছে যতদিন না WBMSCL বা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিসেস করপোরেশন লিমিটেড দায়িত্ব বুঝে না নেয় ততদিন কাজ করে যাবে এই কমিটি। উল্লেখ্য জিন্দালরা হাসপাতালের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এই WBMSCL দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। বিনানী গ্রুপকে দিয়ে কাজ চালাত তারা। এরপর জিন্দালরা দায়িত্ব ছেড়ে দেয়, দায়িত্ব নেয় সরকার। চালু হয় ফোর লেবেল করোনা হাসপাতাল কিন্তু প্রযুক্তিগত দায়িত্বে কে থাকবে ঠিক হয়নি।

অভিযোগ ছিল চারতলা হাসপাতালের ২টি লিফট অকেজো, এলিভেটর কাজ করেনা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমে ব্যাপক গলদ এমনকি বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সময় গন্ডগোল করেছে জেনারেটর ব্যবস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি। জুলাই এবং আগষ্ট মাস জুড়ে এমন কিছু মৃত্যু হয়েছে যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ তোলা হয়েছে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটির দিকে। অভিযোগ এসেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। অথচ হাসপাতালের ৬টি প্রযুক্তিগত বিভাগ যেমন সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এসি, লিফট, জেনারেটর ইত্যাদি দেখভাল করার জন্য ১৯ জন কর্মী রয়েছেন কিন্তু তাঁদের কাজে লাগানোর লোক নেই। জানা গেছে নতুন কমিটি এখন থেকে সেই কাজই করবে।

করোনা হাসপাতালের রোগি এবং রোগির বাড়ির লোকেদের আরও মারাত্মক অভিযোগ ছিল চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি। বলা হয়েছিল ওয়ার্ড গুলোতে প্রায় যেতেনই না তাঁরা। গেলেও দুর থেকে দেখেই ওয়ার্ড ছাড়তেন। খোদ শাসকদলের পক্ষেও এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। শাসকদলের এক যুব নেতা হাসপাতালে ভর্তি থাকার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা অভিযোগ আকারে স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়েছিলেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর বলেছিল, খুব সামান্য কিছু সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু বেশির ভাগ অভিযোগই অতিরঞ্জিত। তো সেই সামান্য সমস্যা মেটাতেই শনিবার থেকে বাঙুরের ৪বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৬জন বিশেষজ্ঞ নার্স এবং ১ জন বিশেষজ্ঞ নার্সিং সুপার কাজ করবেন শালবনীর চিকিৎসক নার্সদের সঙ্গে। বলা হচ্ছে তাঁরা হাতে কলমে কাজ করে দেখাবেন, অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। এরপরও অবশ্য বলা যাবেনা যে করোনা হাসপাতাল চালানোর অভিজ্ঞতা ছাড়াই হাসপাতাল চালু করে দেওয়া হয়েছিল আর তার পরিনতিতেই অকালে ঝরে গেছে অনেক গুলি প্রান।

গত ২২তারিখ করোনা হাসপাতাল পরিদর্শন করে গেছিলেন বাঙুর হাসপাতালের সুপার ডঃ শিশির নস্কর। হাতে কলমে সমস্তটা বুঝে যাওয়ার পরই একের পর এক গলদ ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি এবং ঘটনা এটাই যে সেই গলদ গুলিই বিচ্ছিন্ন ভাবে তুলে ধরেছিলেন অকাল মৃতদের পরিবারের লোকেরাও। শালবনী হাসপাতালের মত মৃত্যু আর কোনও করোনা হাসপাতাল গুনছে কী? হাসপাতাল চালু করার আগেই শিশির নস্করের মত বিশেষজ্ঞদের আনলে খুব কী দেরি হয়ে যেত হাসপাতাল চালু করতে? যদি হতই তবুও কী বেঁচে যেতনা আরও কয়েকটি প্রান?

RELATED ARTICLES

Most Popular