Homeএখন খবরগোপন সুড়ঙ্গের পর আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির মেশিন, ধৃত জঙ্গি আবু সুফিয়ানের বাড়ি তল্লাশিতে...

গোপন সুড়ঙ্গের পর আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির মেশিন, ধৃত জঙ্গি আবু সুফিয়ানের বাড়ি তল্লাশিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল NIA

ওয়েব ডেস্ক : রবিবারই মুর্শিদাবাদের ধৃত আল কায়দা জঙ্গি আবু সুফিয়ানের বাড়ি থেকে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছিলেন NIA তদন্তকারী দল। এবার তাঁর বাড়ি থেকেই লেদ মেশিন উদ্ধার করল তদন্তকারী আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে ওই যন্ত্র দিয়েই বাড়িতে নানা ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করত আবু। তবে বাড়ির মধ্যেই কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করতো পাশায় দর্জি আবু? এই আগ্নেয়াস্ত্র সে কাদের সরবরাহ করেছে? ইতিমধ্যেই তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একই সাথে ধৃত বাংলার বাকি ৫ জঙ্গির কাছে এই ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির যন্ত্র রয়েছে কি না তা জানতে ইতিমধ্যেই প্রত্যেকের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে জঙ্গি গোষ্ঠীদের সাথে ওঠা বসা পেশায় দর্জি আবু সুফিয়ানের। এই দীর্ঘ কয়েক বছরে কত জঙ্গিদের সাথে তার চেনা জানা হয়েছে, অস্ত্র তৈরি করে কাদেরি বা সরবরাহ করেছে আবু তা জানার চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদে জঙ্গি কার্যকলাপের খোঁজ চালাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। খবর পেয়ে শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে ৬ আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে NIA। ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে অন্যতম আবু সুফিয়ান। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কালীনগর গ্রামের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান পেশায় দর্জি হলেও লোকচক্ষুর আড়ালে তিনিই তিন বছর ধরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গতিবিধি, কার্যকলাপ নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। এদিকে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদেএ পর সোমবারই মুর্শিদাবাদ ও কেরল থেকে ধৃত ৯ জঙ্গিকেই ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে NIA। সেখানে সকলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় NIA-র অনুমান সম্ভবত আবু সুফিয়ান গ্রেফতার হতে পারে একথা আন্দাজ করেই সমস্ত মেসেজ ও কল লিস্ট ডিলিট করে ফেলেছে সে। এদিকে এনআইএ-র তদন্তে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৪ জঙ্গির অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকার হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, দুই এক মাসের মধ্যেই কোনো অজানা অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তবে ঠিক কি কাজে লাগাতে এই মোটা অঙ্কের টাকা তাদের দেওয়া হল তা জানতেই এই মূহুর্তে মরিয়া তদন্তকারী দল।

RELATED ARTICLES

Most Popular