নিজস্ব সংবাদদাতা : দুই শীর্ষ করোনা যোদ্ধার শহিদ হওয়ার পরেও সংক্রমনের রক্তচক্ষু অব্যাহত ঝাড়গ্রাম জেলায়। করোনার সঙ্গে সম্মুখ সমরে লড়াই করছেন এরকম একাধিক ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধার প্রায় অর্ধ শতাধিক বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতাল বা সেফহোমে রয়েছেন। কেউ কেউ রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।
একটি সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে প্রতিদিনই দশ থেকে বারো জন আক্রান্ত হচ্ছেন যাঁদের বেশির ভাগই পুলিশ কর্মী এবং কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম থানার এক শীর্ষ আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আক্রান্ত দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে এম.আর.বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত আরেক প্যাথোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হোম আইসোলেশনে আছেন বলেই জানা গেছে।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে ঝাড়গ্রাম জেলার ৯টি থানার বিভিন্ন স্তরের পুলিশ কর্মীদের মধ্যে অর্ধ শতাধিক আক্রান্তের একটি বড় অংশই মানিক পাড়া সেফ হোমে রয়েছেন। উল্লেখ্য করোনা সংক্রমন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম বেশ কিছুদিন ঝাড়গ্রামে করোনা প্রবেশ করতে পারেনি। এরপর ধিরে ধিরে করোনার প্রতাপ বাড়তে শুরু করে। সেপ্টেম্বরেই বড়সড় ধাক্কা খায় ঝাড়গ্রাম জেলা।
মাসের প্রায় গোড়াতেই মৃত্যু হয় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুবোধ মন্ডলের। আর তার দশ দিনের মাথায় গত বুধবার মৃত্যু হয় ঝাড়গ্রাম থানার সহকারি সাব ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার মন্ডলের। যদিও দুটি মৃত্যুই কো-মর্বিডিটির অস্তিত্ব নিয়েই হয়েছিল বলে জানা গেছে তবুও করোনা আক্রান্ত না হলে হয়ত দুজনের কারুরই এখুনি চলে যাওয়ার কথা ছিলনা।