লাল রঙের WB-34BE-6346 ইনসেটে প্রদীপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘরে আসন্ন প্রসবাকে রেখে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রান হারালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি থানার এক যুবক। আর এখানেও সেই হেলমেট না পরারই মাশুল দিতে হল মাত্র ২৫বছরের জীবনের বিনিময়ে। সোমবার বিকালের এই দ্বিতীয় বিপর্যয়ে আঁধার নেমে এসেছে সম্পন্ন মধ্যবিত্ত পরিবারটিতে কারন দিন পনের আগেই আরও একটি বিপর্যয় ঘটেছে। একটি অনভিপ্রেত খুনের মামলায় পরিবারের গৃহকর্তা ও নিহত যুবকের বাবা জেলে গিয়েছেন। সেই ধকল সামলে ওঠার আগেই তারও চেয়ে মর্মান্তিক এই ঘটনায় হতবাক পুরো পরিবার, হতভম্ব প্রতিবেশিরাও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম প্রদীপ মান্না, বাড়ি কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুর গ্রামে। সোমবার জরুরি কাজে বেরিয়েছিল সে। বাড়ি ফিরছিল নারায়নগড় থানা এলাকার মধ্য দিয়ে। তেমাথানি-মকরামপুর রাজ্য সড়ক বরাবর এসে মকরামপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু রাজ্য সড়কের বড় কলঙ্কাই গ্রামের কাছাকাছি রাস্তার একটি খারাপ অংশে ইট বোঝাই ইঞ্জিন ভ্যানের ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়েন প্রদীপ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকের গতি বেশি থাকায় সংঘর্ষের পর বাইক থেকে বেশকিছুটা ওপরে উঠে গিয়ে সরাসরি মাথা নিচু করে রাস্তার পাশে রাখা কংক্রিটের ইঁটের ওপর পড়ায় এবং হেলমেট না থাকায় চৌচির হয়ে যায় মাথার খুলি। অতিরিক্ত রক্তপাতে প্রান হারান যুবক। স্থানীয়রা ধরাধরি করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করা হয় তাঁকে। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়েই প্রতিবেশিরা আত্মীয়রা রাতেই ছুটে যায় থানায়। মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁরাই। প্রদীপের বন্ধুরা জানিয়েছেন, মাত্র বছর দুয়েক আগেই প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন প্রদীপ। তাঁর স্ত্রী পূর্ণগর্ভা এবং নিকটবর্তী সময়ে প্রসবের অবস্থায় রয়েছেন। কিছুদিন আগেই গ্রামের পাশ থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহ। সেই খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রদীপের বাবা। সব মিলিয়ে
দুশ্চিন্তায় ছিলেন প্রদীপ। সেই দুশ্চিন্তার কারনেই হয়ত অন্যমনস্কতা ও অসাবধান হয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। পুলিশ অবশ্য ঘটনায় নিদারুণ আক্ষেপ ব্যক্ত করে বলেছে বারংবার সচেনতা মুলক প্রচার চালনার পরেও হেলমেট না পরা, পথ নিরপত্তা বিধি না মানাই এমন অকালমৃত্যু ডেকে আনছে এবং বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে একেকটি পরিবার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেলা ট্রাফিকের পুলিশের এক কর্তা জানান, ” দুর্ঘটনা ছবি ও স্থানীয় পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান বলছে মাথায় একটা সস্তার হেলমেট থাকলেও বেঁচে যেত যুবক। দুর্ভাগ্য এটাই যে হেলমেট হীন দুর্ঘটনার মৃত্যুর ৮০ভাগই তরুন যুবক। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। অথচ আমরা যখনই হেলমেট বিহীন চালক ধরি বা সতর্ক করি। আমাদের বিরুদ্ধেই আঙুল ওঠে, আমরা নাকি বাড়াবাড়ি করে থাকি।”