নিজস্ব সংবাদদাতা: অন্ধ বিশ্বাসের মাশুল দিল ২শিশু। খেলার মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া শিশুদের হাসপাতালের বদলে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়াতেই শিশুদুটির মৃত্যু হয়েছে এমনটাই জানা যাচ্ছে। মালদার গাজোল থানার কদমতলি এলাকার ঘটনায় অবশ্য শুধুই কুসংস্কার বা অন্ধ বিশ্বাসই নয় পাশাপাশি কুসংস্কার বিরোধি সচেতনতায় প্রশাসনের কি ভূমিকা তাও ভেবে দেখা উচিৎ বলে অনেকের মত প্রকাশ করেছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন , মাঠে খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ৪ শিশু। অভিযোগ, অসুস্থ অবস্থায় তাঁরা বাড়ি এলেও ডাক্তার ডাকার নামগন্ধ করেনি তাঁর পরিবার। বরং শিশুদের সুস্থ করতে ওঝা ডেকে ২ ঘণ্টা ধরে চলে ঝাড়ফুঁক। আর এর চরম মূল্য দিতে হল দুই শিশুকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঝাড়ফুঁক চলাকালীনই এলিয়ে পড়ে এক শিশু। এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে রওনা দেওয়া হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু ততক্ষণে দেরী হয়ে গিয়েছে। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় দুই নিষ্পাপ শিশুর। বাকি দুইজন মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে অনুমান মাঠে খেলার সময় হয়তো কোনও বিষ ফল খেয়ে ফেলেছিল ওই চার খুদে। আর তা থেকে বিষক্রিয়া হয়েই এই ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকদের দাবি, সময় মত আনা হলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব ছিল ওই দু’জনকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনায় প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতে এখনও কু সংস্কারের দাপাদাপি যেমন সামনে এনে দিয়েছে তেমনই প্রশ্ন উঠেছে জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর বা সমাজকল্যান দপ্তর গুলি এই কুসংস্কার কাটিয়ে উঠতে কী ভূমিকা পালন করে আসছে ? আজও কত পিছিয়ে আছে, তাঁর জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ এই ঘটনা। মর্মান্তিক এই খবরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন, হাসপাতালে নিয়ে আসাতে দেরি করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই দুই শিশুর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।