ওয়েব ডেস্ক : মাদকচক্রে যোগ থাকায় মঙ্গলবারই রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। কিন্তু গ্রেফতার করা হলেও মঙ্গলবার রাতে এনসিবির অফিসেই রাখা হয় রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই এনসিবির অফিস থেকে রিয়াকে বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও গ্রেফতারি প্রক্রিয়া শেষ হতে রাত বেড়ে যায়, সেকারণেই শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে রিয়া ও সৌভিককে রাখা হয় এনসিবি দফতরে। এরপর বুধবার সকালে এনসিবির তরফে রিয়াকে মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই জেরার মুখে মাদক সেবন ও মাদক পাচারের সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে রিয়া। এরপরই রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়। এনসিবির দাবি, তাদের কাছে যা তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাতে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের পক্ষে যথেষ্ট। জানা গিয়েছে গ্রেফতার হওয়ার পর আপাতত ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাকে। সেকারণে চলতি মাসের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিয়াকে জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। তবে আরও জানা গিয়েছে, রিয়া চাইলে এই ১৪ দিনের মধ্যে জামিনের আবেদন করতে পারেন। তবে যদি জামিন না পায় তবে সেক্ষেত্রে রিয়া এবং তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে আপাতত জেলেই থাকতে হবে।
একই সাথে জানা গিয়েছে রিয়া চক্রবর্তী এবং সৌভিক চক্রবর্তী দুজনেই ড্রাগ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি আরও জানা যায় তিন বছর আগে থেকে অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে মাদক চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন দুজন। এমনকি তারা দুজন মাদক সরবরাহ ও লেনদেনও করতেন বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রিয়া যে সত্যিই একজন সক্রিয় ড্রাগ পাচারকারী তা এনসিবির তরফে রিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ-সহ যে সমস্ত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকেই একাধিক তথ্য উঠে এসেছে।