Homeএখন খবরসংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে টিকিট নিচ্ছেন না যাত্রীরা, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক ছাপাখানা,...

সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে টিকিট নিচ্ছেন না যাত্রীরা, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক ছাপাখানা, দিশাহীন কর্মচারীরা

ওয়েব ডেস্ক : টানা ৩ মাস লকডাউনের পর আপাতত চালু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা। নতুন করে বাস চালু হওয়ায় স্বস্তির মুখ দেখেছিলেন বাসের সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মী৷ কিন্তু করোনা পরবর্তীতে যখন একাধিক বড়ো অফিসে চাকরি খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ, সেখানে দাঁড়িয়ে ক্রমশ আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের টিকিট ছাপাখানার কর্মচারীরাও। লকডাউনের পর বাস পরিষেবা চালু হলেও একেই কমে গিয়েছে যাত্রী সংখ্যা। তারওপর আবার করোনা ভয়ে যাত্রীরা ভাড়া মেটালেও টিকিট নিচ্ছেন না অনেকেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাসের টিকিট একপ্রকার বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে। সেকারণে আগের মতো আর নতুন টিকিটের প্রয়োজন পড়ছে না। এর জেরে বন্ধ হওয়ার মুখে একের পর এক টিকিট ছাপানোর কারখানা।

জানা গিয়েছে, লকডাউনের পর থেকে পুরনো টিকিটেই কাজ হচ্ছে। এর ফলে লকডাউনের আগে ছাপাখানাগুলিতে যেখানে মাসে ২৭থেকে ২৮ লক্ষ টিকিট বিক্রি হত, সেখানে লকডাউনের পর গত ৩ মাসে খুব কষ্ট করে ৪ লক্ষের বেশি টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতির মুখ দেখছেন টিকিট ছাপানোর কারখানাগুলি। এর জেরে শ্যামবাজার, রাসবিহারি, বালিগঞ্জের সহ রাজ্যের বেশীরভাগ ছাপাখানাই ধীরে ধীরে বন্ধ হতে বসেছে। পেটের টানে কর্মচারীরা অনেকেই পেশা বদলেছেন। অনেকেই আবার ফের সুদিন ফেরার আশায় দিন গুনছেন।

এবিষয়ে শিবপুরের এক ছাপাখানার মালিক বলেন, “ছ’জন কর্মচারী ছিল। কোথা থেকে মাইনে দেব? ওই খুচরো কিছু টিকিট বিক্রি করলে তো কারখানা চালানো যায় না। আমার কারখানার মতো বহু টিকিট ছাপার কারখানাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০ বছরের ব্যবসা। লকডাউন সব শেষ করে দিল।” একই কথা বলছেন বজবজের আরও এক ছাপাখানার মালিক। তিনি বলেন, “পূর্বপুরুষের ব্যবসা। কোনও ক্রমে চালাচ্ছি। বাবা আর আমি মিলে এখন অল্প কিছু কাজ করি। কর্মচারী রেখে কাজ করা অসম্ভব। রোজগার নেই কোনও। যে কোনও দিন বন্ধও হয়ে যেতে পারে।” এবিষয়ে বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগে যে সংখ্যক যাত্রী বাসে হত, এখন তো তার অর্ধেকের অর্ধেকও হয় না। ফলে টিকিটও বিক্রি হয় না। সংক্রমণের ভয়ে টিকিট নিচ্ছেন না অনেকেই।”

RELATED ARTICLES

Most Popular