এভাবেই সভা ঘিরে চলেছে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা:পরষ্পর পরষ্পরের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার আভিযোগ তুলে পণ্ড করে দিল গ্রামসংসদের সভা। রাজ্যের ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের অবিসংবাদিত তৃনমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুক কুকড়াহাটির ঘটনায় স্তম্ভিত সরকারি আধিকারিকরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বৃহস্পতিবার সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত কুকড়াহাটি গ্রামপঞ্চায়েতের সামাজিক নিরীক্ষার বিশেষ গ্রামসংসদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল আনারনগর কুকড়াহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। উদ্যোক্তা ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ও গ্রামপঞ্চায়েত। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান দিলীপ মন্ডল, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন অডিট টিমের সদস্যরা ও ব্লকের আধিকারিকরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আলোচনার বিষয় ছিল, ১০০দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা,জাতীয় ভাতা প্রকল্প ইত্যাদির অগ্রগতি। পাশাপাশি গ্রাম সংসদের সদস্যদের মতামত, অডিট রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সভা শুরুর মুখেই কুকড়াহাটি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি মতিলাল হাজরা ও তাঁর লোকেদের সাথে প্রধান ও অডিট টিমের লোকেদের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। সরকারি আধিকারিকরা বারংবার মাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করলেও বাক বিতন্ডা থামানো যায়নি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরষ্পর পরষ্পরকে দোষারোপ করতে থাকেন নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও কাটমানি নিয়ে সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার। সভায় আভিযোগ ওঠে টাকা নিয়ে ঘর না করার পরও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে, কারও নিজের বাড়ি ও সামর্থ থাকা স্বত্তেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি অনুমোদন করা হয়েছে আবার প্রকৃত দরিদ্র মানুষ ঘর পাননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ব্যাপক আভিযোগ ও বিতন্ডার মধ্যে অডিটেও গরমিল করার কথা উঠে আসে। সরকারি আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, ‘তিনি টাকা পেয়েছেন হয়ত সই করেননি’ কিংবা ‘তিনি হয়ত নিজের দাগ নম্বরে বাড়িটি করেননি’ ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপরই সরকারি অডিটে গরমিলের আভিযোগ তুলে ঘিরে রাখা হয় পঞ্চায়েত সদস্য সহ আধিকারিকদের। শেষমেশ পণ্ড হয়ে যায় সভা। সভা ভেস্তে যাওয়ার জন্য একে অপরকে দায়ি করেছে।