ওয়েব ডেস্ক : করোনা আবহে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে লাগামছাড়া বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও কোনোরকম হেলদোল নেই হাসপাতালগুলির। ফলে মাঝে মধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালের বিল বাড়ানোর অভিযোগ উঠছে। মঙ্গলবারও আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রোগী পরিবার৷ অভিযোগ মৃত রোগীকে চিকিৎসা করার নামে বিল বাড়াচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল৷ জানা গিয়েছে ২৩ আগস্ট হুগলির চন্ডিতলার বাসিন্দা বছর ৫৫ র শেখ শবর আলির প্রবল শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয়। এরপর পরিবারের তরফে তাকে উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের তরফে রোগীকে কলকাতায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এরপর হাসপাতালের কথা মতো ২৫ আগষ্ট তাকে কলকাতার তিলজলা রোডের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী তার করোনা পরীক্ষা করা হয়৷ সেই রিপোর্ট আসে ২৬ তারিখ। জানা যায় শেখ শবর আলি করোনায় আক্রান্ত। যেহেতু ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত, সেকারণে হাসপাতালের তরফে রোগীর সাথে পরিবারের লোকেদের দেখা করতে পারবে না বলে জানানো হয়। এদিকে প্রতিদিন বিশাল টাকার অঙ্কের বিল মেটাতে হয় শবর আলির পরিবারকে। কিন্তু এত পরিমাণ বিল মিটিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় পরিবারের তরফে তাকে সরকারি হাসপাতালের ভর্তি করার কথা ভাবা হয়। রোগী পরিবারের অভিযোগ, সোমবার হাসপাতালের বিল মেটানোর মিনিট দশেক পরই ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয় রোগী মারা গিয়েছে। এরপর স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শবর আলির পরিবার।
এই ঘটনায় শবর আলির বন্ধু বলেন, তাদের অনুমান শনিবারই শবর আলি মারা গিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালের বিল বাড়াতে মৃত ব্যাক্তিকে ভেন্টিলেশনে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর রোগী পরিবারের তরফে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়েয়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পাশাপাশি তারা দেহটি ময়নাতদন্তের দাবি জানান। তাদের দাবি ময়নাতদন্তের পর রোগীর আদতে কবে মারা গিয়েছেন তা পরিবারের তরফে জানতে চান। একই সঙ্গে শবর আলি আদেও করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা। আপাতত দেহটিকে শিয়ালদহের নীল রতন মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পারিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি জানা যাবে৷ যদিও এই গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।