ওয়েব ডেস্ক : পর পর তিনদিন একই ঘটনা! বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজের ইংরেজি অনার্সের মেধাতালিকায় জ্বল জ্বল করছে সানি লিওন সহ তিন পর্ণ তারকার নাম। শনিবার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা হাসিক খোড়াক হয়ে যায়। ঝড়ের বেগে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এদিকে এই ঘটনা নজরে আসতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই মেরিট লিস্ট ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেন তারা৷ এরপরই এবিষয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দিনকয়েক আগে এই একই ঘটনা ঘটেছিল আশুতোষ কলেজের ইংরেজি অনার্সের মেধাতালিকায়। সেখানেও প্রথম নাম ছিল সানি লিওনের। নেট দুনিয়ায় সেই ফটো ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে হাসির রোল ওঠে। পোস্টটি নজরে এসেছে খোদ অভিনেত্রীর। এরপর সেই পোস্টের উত্তরে সানি লিওন টুইট করে লেখেন, “ক্লাসে দেখা হবে।” এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ কলেজে ইংরেজি অনার্সে ১৫১ তম স্থানে সানির নাম ওঠে।
এরপরই শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজের ইংরেজি অনার্সের মেধাতালিকার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে৷ ছবিতে দেখা গিয়েছে, ওই মেধা তালিকার প্রথম দুটিতে রয়েছে জনপ্রিয় দুই পর্ণ তারকা ড্যানি ড্যানিয়েলস ও মিয়া খলিফার নাম। আর তিন নম্বরে যিনি রয়েছেন, তিনি বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সানি লিওন। চার নম্বরে রয়েছে নীল ছবির আরও এক অভিনেতা জনি সিনস। যদিও এবিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, যেই মেধা তালিকাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেটি আদতে সত্যি নয়। সেটি ভুয়ো মেধাতালিকা। এরপরই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এবিষয়ে বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ দেবেশ রায় বলেন, “কয়েকজন অভিনেত্রী ও তারকাদের নাম-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়ো মেধাতালিকা ছড়িয়ে পড়েছে। আসল মেধাতালিকায় নেই নামগুলি ছিল। কেউ মেধাতালিকা ডাউনলোড করেছে এবং তা এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি।” এই মেধাতালিকা নিয়ে ভুয়ো ছবি ও খবর ছড়িয়ে পড়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফেও ইতিমধ্যেই আলাদাভাবেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। এবিষয়ে ছাত্র পরিষদের বক্তব্য, কলেজকে কালিমালিপ্ত করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুয়ো তালিকা ছড়ানো হয়েছে।
তবে আচমকা কিভাবে পর পর ৩টি কলেজের মেরিট লিস্ট রাতারাতি বদলে গেল? তবে কি কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এমন ঘটনা ঘটলো? এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যে ৩ টি কলেজের মেরিট লিস্টে নাম পরিবর্তন করার ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের একে অপরের সাথে যোগ রয়েছে কিংবা কোনও একজন ব্যক্তি এই ঘটনার সাথে জড়িত৷ কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।